সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমন দুর্দিনে কর্মীদের হাতে এল ১০০ শতাংস বোনাস! উপরন্তু নিয়োগ করা হচ্ছে ১৫ শতাংশ কর্মী। লকডাউনের বাজারে দুর্লভই বটে! করোনা আবহে যেখানে বিগত আড়াই মাস দেশে লকডাউনের জেরে ধুঁকছে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। ব্যাপক হারে চলছে কর্মী ছাঁটাই বা বেতন কমাচ্ছে একের পর এক কোম্পানিগুলি, সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে ১০০ শতাংশ বোনাস আর ১৫ শতাংশ কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত যেন মহার্ঘ্যের মতোই ঠেকছে। দুর্দিনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাস কলকাতারই এক সংস্থা টিসিজি লাইফসাইন্সেস।
টিসিজি লাইফসাইন্সেস-এর কর্মকর্তা একজন প্রবাসী বাঙালি। নিউ ইয়র্ক নিবাসী পূর্নেন্দু চট্টোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতে যখন একের পর এক বিদেশি লগ্নি টেনে সাড়া ফেলে দিয়েছে আম্বানির রিলায়েন্স জিও, ঠিক তখনই বাঙালি শিল্পপতি পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় ছুঁয়ে ফেললেন এক অন্য মাইলফলক। প্রবাসী এই বাঙালির মালিকানাধীন টিসিজি লাইফসায়েন্সেস এমন অতিমারীর মধ্যেও তাদের কলকাতার সদর দপ্তর এবং হায়দরাবাদের অফিসের সমস্ত কর্মীকে ১০০ শতাংশ বোনাস দিয়ে নজির গড়ল।
এখানেই শেষ নয়। টিসিজি সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী প্রতিবছরের মতো এবারও নতুন কর্মী নিয়োগ করা হবে। এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আরও ১৫ শতাংশ কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হবে। উপরন্তু বর্তমান কর্মীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। এর পাশাপাশি এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও প্রতিষ্ঠানের যে সমস্ত কর্মীরা তাঁদের কাজ ও গবেষণার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছে কোম্পানিকে, তাঁদের স্বীকৃতি দিতে বিশেষ ‘রিওয়ার্ডস’ প্রোগ্রামের পরিকল্পনাও করেছে টিসিজি।
[আরও পড়ুন: নবান্নের ১৪ তলায় করোনা আক্রান্ত গাড়িচালকদের ঘোরাফেরা, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা]
সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই টিসিজি লাইফসাইন্সেস তাদের অফিসগুলিতে দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করছে। অফিস চলাকলীন কর্মীদের উপস্থিতির সংখ্যাকে তিনটি শিফটে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, অফিসে যাতায়াতের জন্য গাড়ি ও সারাদিনের সমস্ত খাবার কোম্পানি নিজ দায়িত্বে বহণ করছে এই সংস্থা।
টিসিজি লাইফসাইন্সেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, স্বপন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “লকডাউনের সময় থেকেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ক্ষেত্রেও খুবই কঠিন সময় গিয়েছে। কিন্তু, তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস কর্মীরাই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সম্পদ, তাই এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কোম্পানি।