Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kolkata corporation

করোনায় মৃত্যু হলে ধাপায় শেষকৃত্য, বড় পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার

মুসলিম সম্প্রদায়ের রোগীর মৃত্যু হলে বাগমারি কবরস্থানে আলাদা জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে।

corporation take initiative to burn corona patients body at dhapar math
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 26, 2020 10:27 am
  • Updated:March 26, 2020 12:29 pm

কৃষ্ণকুমার দাস: করোনায় মৃত রোগীর দেহ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পোড়ালেও নাকি আশেপাশের বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে কালান্তক মারণ ভাইরাস। এমনই অবৈজ্ঞানিক যুক্তিতে ভর দিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত প্রথম রোগীর শেষকৃত্য নিমতলা শ্মশানঘাটে করতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে কলকাতা পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘন্টা তিনেক বাদে দাহ হলেও পরবর্তীতে ফের এমন অশান্তি রুখতে বড়মাপের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Corporation)।

এবার থেকে করোনায় আক্রান্ত কোনও রোগীর মৃত্যু হলে ধাপায় দাহ ও পূর্ব কলকাতার বাগমারি কবরস্থানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ধাপায় পুরসভার জঞ্জালের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যেখানে দাবিহীন দেহ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় দাহ করা হয় সেখানেই করোনায় ফের মারা গেলে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা হচ্ছে। আর বাগমারির কবরস্থানের ভিতরেই আলাদা জায়গা ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মৃতকে সেখানে সমাধিস্থ করা হবে বলে মেয়র জানিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কলকাতায় করোনা আক্রান্ত আরও একজন, বৃদ্ধের শরীরে মিলল জীবাণু ]

বুধবার এপ্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ইলেকট্রিক চুল্লিতে দেহ দাহ হলে করোনা কেন, অন্য কোনও জীবাণু থাকে না। আবার মাটির নিচে কোনও দেহ চলে গেলে সেখানেও সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন পুরসভা মানছে।’ পুরসভা সূত্রে খবর, ৬৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় কলকাতার সমস্ত শ্মশানেই দাহ হয়ে থাকে। যেখানে মাত্র ৫২ ডিগ্রি উঠলেই করোনা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই যে বা যাঁরা সেদিন নিমতলা শ্মশানঘাটের চুল্লিতে দেহ পোড়ালে স্থানীয় জনপদে করোনা ছড়িয়ে পড়বে ভেবেছিলেন তাঁদের ‘হুজুগে ও গুজব সৃষ্টিকারী’ বলে কটাক্ষ পুরকর্তাদের। আর মৃতদেহ মাটির নিচে গেলে যে ভাইরাসটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে তার প্রমাণ চিন বা ইরানে করোনায় গণকবর দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মেয়র জানান, বাংলা বা দেশে করোনায় আর কোনও মৃত্যু হোক আমরা চাই না। কিন্তু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনেই সমস্ত শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। সেদিন আইসিএমআরের গাইডলাইন মেনে দমদমের প্রৌঢ়ের দাহ সমাপ্ত হওয়ার পর গোটা চুল্লিটি বিশেষভাবে স্যানিটাইজ করা হয়।

[আরও পড়ুন: লকডাউনের সময় চাকরি হারানোর জের, হতাশায় আত্মঘাতী বৃদ্ধ]

নিমতলা শ্মশানে করোনায় প্রথম মৃত রোগীর শেষকৃত্য নিয়ে যে চরম অশান্তি হয়েছিল, তা সামাল দেওয়ায় পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কারণ, সেদিন বাসিন্দাদের হুমকি ও সহকর্মীদের একাংশের উসকানি উপেক্ষা করে দুই স্বাস্থ্যকর্মী দমদমের ওই প্রৌঢ়ের দেহ দাহ করেন। বুধবার সেই দুই কর্মীকে পুরসভার তরফে আড়াই হাজার টাকা ও বিশেষ স্বীকৃতির শংসাপত্র তুলে দেন স্বাস্থ কর্তারা। ধাপায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ টিমও তৈরি হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ