Advertisement
Advertisement
গণধর্ষণ

সূত্র সিসিটিভি ফুটেজ, পঞ্চসায়র গণধর্ষণ কাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি শনাক্ত করল পুলিশ

১৯ নভেম্বর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেবেন নির্যাতিতা।

Kolkata gang rape: Cops on the verge of cracking the case

ছবি - প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 16, 2019 10:49 am
  • Updated:November 16, 2019 10:49 am

অর্ণব আইচ: একশোর উপর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পঞ্চসায়রের গণধর্ষণ কাণ্ডের কিনারার কাছাকাছি এসে পৌঁছল পুলিশ। যে গাড়ি করে পঞ্চসায়রের হোম থেকে বেরিয়ে আসা যুবতীকে তোলার পর দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণ করেছিল, সেই গাড়িটিকে শনাক্ত করলেন লালবাজারের আধিকারিকরা। তদন্ত শুরু করার পর হোমের মিথ্যাগুলি ধরা পড়তে শুরু করেছিল। হোমের কর্তা ও মহিলা কর্মীদের মিথ্যাগুলি ধরে ফেলে সিসিটিভি ফুটেজ। এদিকে, শুক্রবার দিল্লি থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা পঞ্চসায়রে গিয়ে তদন্ত করেন। তাঁরা হোমে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা পুলিশের ভূমিকা ও হোমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

কমিশনের প্রতিনিধি চন্দ্রমুখী দেবী জানান, নির্যাতিতা তাঁদের গণধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন। হোমের পর্যাপ্ত লাইসেন্স যে ছিল না, তা কেন পুলিশ আগে জানত না, সেই প্রশ্ন তিনি করেন। কমিশন লালবাজারে এসে গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরা তাঁকে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। গোয়েন্দাপ্রধান তাঁদের জানান, আগামী ১৯ নভেম্বর আদালত যুুবতীর গোপন জবানবন্দি নেবে। যদিও হোমের লাইসেন্স নিয়ে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া পুলিশের এক্তিয়ারের বাইরে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সমুদ্রে ফেরানোর চেষ্টা ব্যর্থ, মৃত্যু খালে সাঁতরে বেড়ানো ডলফিনের]

রাজ্য মহিলা কমিশনের একটি সূত্রর দাবি, তাঁরা পুলিশের কাছ থেকে জেনেছেন যে, ধর্ষণ নিয়ে তাঁদের সংশয় আছে। যদিও লালবাজার জানিয়েছে, এই বিষয় নিয়ে কোনও কমিশনকেই রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতেই মৃতু্য হয় নির্যাতিতার মায়ের। বৃহস্পতিবারই রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা হোমে গিয়ে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। যে হোম থেকে যুবতী পালিয়েছিলেন, সেই হোমেই ভর্তি ছিলেন তঁার মা। যুবতীর দিদি জানিয়েছেন, তাঁরা বৃদ্ধাকে পুরো বিষয়টি জানাননি। কিন্তু বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জেনে যাওয়ার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের মা। রাত ন’টা নাগাদ হোমের মালিক জানান, মা খুবই অসুস্থ। ডাক্তার ডাকা হয়েছে। রাত দশটার পর জানান, মৃতু্য হয়েছে মায়ের। লালবাজার জানিয়েছে, ওই যুবতী যাতে ফের হোম থেকে না পালান, তার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশের নজর রয়েছে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ধর্ষণের পর পরেই ছিলেন তিনি। নরেন্দ্রপুরের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁকে উদ্ধার করেন। একটি হলুদ পোশাক পরে তাঁকে যেতে দেখা গিয়েছে সিসিটিভিতে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ