নব্যেন্দু হাজরা: লকডাউন উঠলেই কি সচল হবে শহরের লাইফলাইন! চেনা ছন্দে ফিরবে পাতালপথ! মেট্রোসূত্রের খবর, দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে চলতি মাসে অন্তত যাত্রী নিয়ে মেট্রো চলার সম্ভাবনা কম। পাতালে ট্রেন চালানোর বিষয়ে রেলমন্ত্রক থেকে এখনও তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। অবশ্য, ট্রেন চালানোর প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছেন না মেট্রো রেল আধিকারিকরা। নিয়মিত চলছে লাইন ইনস্পেকশন, ছুটছে মেট্রোও। কিন্তু যাত্রী নিয়ে যখনই ছোটা শুরু করবে মেট্রো, তখন পাতালপথে ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট কার যে বড় চ্যালেঞ্জ কর্তাদের কাছে, তা বলাই বাহুল্য। দফায় দফায় চলছে মিটিং। কীভাবে সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রেখে যাত্রীদের ট্রেনে যাতায়াত করানো যায় সেই পরিকল্পনাই চলছে।
কলকাতা মেট্রো ভারতীয় রেলের অধীন হওয়ায় রেলমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। হঠাৎ কোনও সরকারি নির্দেশ জারি হলে পরিষেবা শুরু করে দিতে হতে পারে বলে মনে করছেন মেট্রোকর্তারা। সেই কারণেই মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশ থেকে টোকেন কেনা বা ট্রেনে চড়া, সব কিছু নিয়েই নতুন করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, স্টেশনে ঢোকার গেটে টোকেন ফেলার লাইনে দুই যাত্রীর মধ্যে এক মিটার দূরত্ব রাখা হবে। সেই মতো গোল দাগ করে দেওয়া থাকবে।
[আরও পড়ুন: লকডাউন শিথিল করবেন না, ইমামদের মতোই মুখ্যমন্ত্রীকে আরজি মুসলিম সংগঠনের]
স্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি টোকেন কেনার কাউন্টারও পৃথক করা হচ্ছে। দু’টি লাইনের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে কখনওই পাশাপাশি দু’টি কাউন্টার খোলা হবে না। প্লাটফর্মে পাশাপাশি চেয়ারে বসতে পারবেন না যাত্রীরা। মাঝে একটি চেয়ার ফাঁকা রেখে বসতে হবে। যাত্রীদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা ছাড়াও প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময়ে স্যানিটাইজার দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। ট্রেনের কামরায় যাত্রীরা যাতে দূরত্ব-বিধি মেনে যাতায়াত করেন, সে কথা মাথায় রেখে তাঁদের বসার এবং দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা পৃথক ভাবে রং দিয়ে চিহ্নিত করা হতে পারে বলে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে টোকেন ধোয়ারও। প্রস্তুতি হিসাবে স্টেশন ধোয়ামোছার পাশাপাশি রেকগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কবে মেট্রো পরিষেবা আবার শুরু হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মেট্রোর এক আধিকারিক জানান, মূল সিদ্ধান্ত দিল্লি নেবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি সবরকমের।