অর্ণব আইচ: পথকুকুরদের পর খাবার না পেয়ে বিপাকে অশ্বদল। লকডাউনের সময়ে পথ কুকুরদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ। এবার প্রায় অভুক্ত থাকা ঘোড়াদের মুখে খাবার জোগাতে এগিয়ে এল তারা। হাত মিলিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাও। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার প্রায় দেড়শো ঘোড়ার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই খাবার কতদিন জোগানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তা দূর হচ্ছে না কিছুতেই।
এই ঘোড়াগুলির মধ্যে একটি অংশ ভিক্টোরিয়ার সামনে গাড়ি টানে। পর্যটকরা ঐতিহ্যের ভিক্টোরিয়া দর্শনে এসে ঘোড়ার গাড়ি চড়ে ঘোরেন। আবার পর্যটকদের পিঠে করে নিয়ে ঘোরাফেরা করে, এমন অনেক ঘোড়াও আছে। ঘোড়াগুলির মালিকরা সেগুলিকে হেস্টিংসে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ফ্লাইওভারের তলায় নিয়ে এসে রেখেছেন। সার বেঁধে সেখানে রয়েছে প্রায় শ’দেড়েক ঘোড়া। কিন্তু লকডাউনে বন্ধ সমস্ত দর্শনীয় স্থান। ফলে এই সময় ঘোড়ার মালিকদের রোজগার নেই। ঘোড়াগুলির পেটে দানাপানিও জুটছে না।
এই খবর পেয়েই কলকাতা মাউন্টেড পুলিশ ও একটি সংস্থা যৌথভাবে নিয়ে আসে ঘোড়ার খাবার, দানা ও ভুসি। যদিও পুলিশের মতে, এই খাবারে মাত্র কয়েকদিন চলবে ঘোড়াগুলির। ছোট ঘোড়া বা পনিগুলি তবু ঘাস খেয়ে পেট ভরায়। কিন্তু বড় ঘোড়াগুলির ক্ষেত্রে তা হয় না। তাদের জন্য প্রয়োজন ভুসি ও দানা। দেড়শো ঘোড়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কেজি খাবার প্রয়োজন। এখন সেই খাবারের দাম ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জেরে কবে ভিক্টোরিয়া পর্যটকদের মুখ দেখবে, তা এখনও কেউ জানে না। ততদিন ঘোড়ার মালিকদের পক্ষে দানা বা ভুসি জোগানো মুশকিল। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। এতদিন ধরে কীভাবে এতগুলি ঘোড়ার খাদ্য জোটানো সম্ভব হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.