ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: খাবার দেওয়ার আগে চিড়িয়াখানার বিড়াল জাতীয় প্রাণী অর্থাৎ বাঘ, সিংহদের রোজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল। যিনি খাবার দেবেন তাঁকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট পিপিই (PPE) গায়ে চড়িয়ে তবেই খাঁচার ভিতর ঢুকতে হবে। পাশাপাশি তাঁকে হাতে গ্লাভস পরতে হবে। এমনকী, খাঁচায় ঢুকে তাঁকে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে খাবার দিতে হবে। সোমবার এমন নির্দেশ দিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানায় গিয়ে সেখানকার অধিকর্তা, চিকিৎসকদের সঙ্গে মিটিং করেন মন্ত্রী। নিউ ইর্য়কের চিড়িয়াখানার ঘটনা সামনে আসার পর থেকে বাড়তি সতর্কতার নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চিড়িয়াখানা স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। কর্মীদের রাত্রিবাসও স্যানিটাইজ করা হবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, “নিউ ইয়র্কের ঘটনা সামনে এসেছে বলে নয়, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমরা লাগাতার চিড়িয়াখানার উপর নজরদারি শুরু করেছি। সেই সময় থেকেই সতর্কতার কাজ চলছে। এমনিতেই এখন চিড়িয়াখানায় দর্শক আসা বন্ধ। তাতে যা সর্তকতা নেওয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রে আলিপুর চিড়িয়াখানা নিরাপদ।” মন্ত্রী আরও জানান, “দুদিন আগেও একবার দেখে এসেছি। আজ ফের গিয়ে দেখলাম কোথাও কোনও ফাঁকি রয়ে গিয়েছে কিনা। চিড়িয়াখানার ভিতরে লাগাতার বিভিন্ন জায়গায় অ্যান্টিভাইরাল স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। এবং প্রত্যেক দিন যে খাবার বাঘেদের দেওয়া হয় ডাক্তার দেখে সার্টিফাই করলে তবেই দেওয়া হয়। আজ আমি কড়াভাবে বলে দিয়েছি এই নিয়মের কোন অন্যথা যেন না হয়।”
[আরও পড়ুন : লকডাউন ভেঙে রাস্তায় জমায়েত যুবকদের, বারণ করায় আক্রান্ত এন্টালি থানার SI]
জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে থেকেই এই পদ্ধতি মেনে কর্মীরা খাঁচায় ঢুকছিল। বাঘ-সিংহের খাওয়ার আগে প্রত্যেকদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন চিকিৎসক। এই অসুখ মূলত মানুষের শরীর থেকে বিড়াল জাতীয় প্রাণী দের শরীরে আসতে পারে। এখন দর্শক আশা একেবারে বন্ধ। তারপর যে ধরনের সর্তকতা নেওয়া হয়েছে তাতে আলিপুর চিড়িয়াখানা সেদিক থেকে নিরাপদ বলেই দাবি করা হয়েছে। পাখিদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।