Advertisement
Advertisement

Breaking News

লকডাউনে পুলিশ আক্রান্ত

লকডাউন ভেঙে রাস্তায় জমায়েত যুবকদের, বারণ করায় আক্রান্ত এন্টালি থানার SI

ঘটনায় ধৃত একজন আপাতত পুলিশ হেফাজতে, বাকিরা পলাতক।

SI of Entally PS attacked by mob who broke lockdown and roamed last night

অঙ্কন: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্য়ায়

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 6, 2020 8:30 pm
  • Updated:April 6, 2020 11:41 pm

অর্ণব আইচ: লকডাউনে বেড়ানোর মেজাজ। যুবকদের বারণ করতেই প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি, নিয়ম লঙ্ঘনকারীকে পাকড়াও করতে গেলেই পুলিশের উপর হামলা। আক্রান্ত হলেন এন্টালি থানার পুলিশ অফিসার। এই ঘটনায় শেখ শোয়েব ওরফে শেখ শাহিদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার অভিযুক্তকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে তার জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী। তাকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। নিজেদের এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন এন্টালি থানার পুলিশ আধিকারিকরা। টহলরত পুলিশকর্মীরা শেখ সৈয়দ আহমেদ রোডে আসার পর দেখা যায়, লকডাউন ভেঙে বেড়ানোর মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে কয়েকজন যুবক। পুলিশ তাদের সতর্ক করে বাড়ির ভিতর ঢুকতে বলে। সে কথায় কর্ণপাত করা দূর অস্ত। নিয়মের তোয়াক্কা না করে আরও বেপরোয়া মনোভাব জাহির করে ওই যুবকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা ছাড়াই করোনা রোগীর চিকিৎসা, কোয়ারেন্টাইনে NRS’এর ৭৬ স্বাস্থ্যকর্মী]

অভিযোগ, তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করে। তার সঙ্গে চলে গালিগালাজও। লকডাউন লঙ্ঘন করে এই ঘরনের অভব্যতা করায় পুলিশ একজনকে ধরে ফেলে, বাকিরা পালিয়ে যায়। শোয়েব নামে ওই যুবক ধরা পড়ার পর এন্টালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর পীযূষ দে’র উপর পালটা হামলা চালায়। তাঁর সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তি করে সে পালানোর চেষ্টা করে। তবুও পুলিশ অফিসার তাকে ছাড়েননি। তিনি ও অন্য পুলিশকর্মীরা মিলে তাকে ধরে ফেলেন। গ্রেপ্তার করার পর ধৃত ও তার পলাতক সঙ্গীদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশকে বাধা দেওয়া ও লকডাউন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আপাতত শ্রীঘরে শোয়েব। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দিন চলবে কী করে?’ লকডাউনের মাঝেও হাতে টানা রিক্সা নিয়ে রাস্তায় ওঁরা]

সপ্তাহ খানেক আগে অসমে লকডাউনে হাটের খোলা দোকান বন্ধ করতে গিয়ে প্রহারে মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। তিনি অসম রাইফেলসের কনস্টেবল ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, নিজের কাজ করতে গিয়ে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের হাতে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। কলকাতাতেও প্রায় একই ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে, লকডাউনে আইনরক্ষকদের নিরাপত্তা কোথায়?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ