Advertisement
Advertisement

নীল তিমি রুখতে স্কুলে চিঠি দিচ্ছে লালবাজার

কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ ও টুইটারে প্রচার শুরু।

Kolkata police to spread awareness about killer Blue Whale
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 8, 2017 5:29 am
  • Updated:September 8, 2017 5:29 am

স্টাফ রিপোর্টার: ফেসবুক, টুইটারে প্রচার চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পথে হেঁটে ‘ব্লু হোয়েল’-এর গ্রাস থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে সরাসরি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করল কলকাতা পুলিশ।

[প্রেমিকার সঙ্গে টানাপোড়েন, ভিডিও কল চলাকালীন আত্মঘাতী ছাত্র]

Advertisement

লালবাজার সূত্রে খবর, অনলাইন গেম ‘ব্লু হোয়েল’ নিয়ে পড়ুয়াদের উপর সতর্ক নজরদারি রাখতে শহরের বিভিন্ন স্কু্লগুলিকে চিঠি পাঠাতে শুরু করেছেন তাঁরা। চিঠিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মারণখেলা ‘ব্লু হোয়েল’-এর দিকে কেউ ঝুঁকে পড়েছে, এমন কোনও তথ্য কানে এলেই সঙ্গে সঙ্গেই তা পুলিশকে জানানোর জন্য। প্রয়োজনে ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যেন ‘ব্লু হোয়েল’-এর কুপ্রভাব ও ভয়াবহতা সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বোঝান, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

Advertisement

লালবাজারের এক কর্তা জানাচ্ছেন, কলকাতায় ‘ব্লু হোয়েল’-এর ভয়াবহতা রুখতে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ ও টুইটারে প্রচার শুরু করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিষয়ে সতর্ক করাতে সরাসরি কথা বলার প্রয়োজন আছে। সে উদ্দেশ্যেই এই চিঠি। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে কলকাতার বেশ কয়েকটি নামী স্কুলে চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। বাকি স্কুলগুলির তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার সার্ভে পার্ক এলাকার নস্করপাড়ার বাসিন্দা এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তাঁর হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে এফ-৩২ লেখার পর থেকে এই বিষয়ে পুলিশ বিশেষ সতর্ক হয়েছে।
পুলিশের পাঠানো সতর্কীকরণ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ব্লু হোয়েল’গেমটি আসলে কী এবং কীভাবে তা কারও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে সেটি বুঝিয়ে ছাত্রছাত্রীদের এবিষয়ে সচেতন করা দরকার। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা যেন তাঁদের পড়ুয়াদের উপর নজর রাখেন। হাত কাটা মানেই যে নীল তিমি আক্রমণ করেছে, তা ভাবার নিশ্চিত কোনও কারণ নেই। তবুও কোনওভাবে যেন নীল তিমির গ্রাসে তারা না পড়ে, সেই চেষ্টার প্রয়োজন। এই বিষয়ে লালবাজারের সাইবার থানা বা স্থানীয় থানাকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্কুল কতৃর্পক্ষকে।

[সিকিম থেকে গ্রেপ্তার হতে পারেন বিমল গুরুং]

এ ছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ অভিভাবকদেরও সতর্ক করেছে। সন্তানরা নিজেকে আঘাত করলে অথবা আত্মহত্যার হুমকি দিলে তা যেন পুলিশকে জানানো হয়। আবার কেউ ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’-এর বিষয়ে প্ররোচনা দিলেও যেন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ছেলেমেয়েরা কী ধরনের ওয়েবসাইট দেখছে, হোয়াটসপে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, সেই বিষয়ে যেন অভিভাবকরা নজর দেন। তাদের মোবাইল ব্রাউজিং ও সার্চ হিস্ট্রি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখলে অভিভাবকরা যেন তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে সমস্যাটি জানার চেষ্টা করেন বলে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

[উধাও মোবাইল থেকে খাবারের নুন, বৈদ্যবাটিতে ভূতের জ্বালায় অস্থির পরিবার!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ