Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহরে ফের বেপরোয়া গতি, পড়ুয়া সমেত স্কুলবাস ধাক্কা মারল সরকারি বাসে

ঘটনায় আহত আট ছাত্রী। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।

Kolkata: School bus rams into another vehicle, several students injured
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 12, 2018 7:16 pm
  • Updated:February 12, 2018 7:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  বেপরোয়া গতির জেরে শহরে ফের ঘটল পথ দু্র্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরকারি বাসের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারল স্কুলবাস। সেই সময় বাসে ছাত্রীরা ছিল। ধাক্কার তীব্রতায় প্রায় আটজন ছাত্রী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, বাসটি লেকটাউন গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে ফিরছিল। লেকটাউন থেকে দমদম অভিমুখে যাওয়ার সময় আচমকাই স্কুলবাসের গতি বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। বাগুইআটি মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে স্কুলবাসের চালক। সোজা সামনের সরকারি বাসে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পরেই বাস ছেড়ে পালিয়ে যায় চালক। তবে তাকে আটক করেছে পুলিশ। আহত ছাত্রীদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় বাকিদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে স্থানীয়রা। অন্য একটি বাসে করে তাদের রওনা করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার আতঙ্কে কেঁদেই চলেছে আহত ছাত্রীরা।

[বাড়িতে ‘বকুনি’, খেলতে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ৫ কিশোর-কিশোরী]

আহত ছাত্রীরা জানিয়েছে, ৪.৩০ মিনিটে স্কুলবাসটি বেপরোয়া গতিতে দমদমের দিকে যাচ্ছিল। ভয় পেয়ে বেশ কয়েকবার ড্রাইভার কাকুকে বোঝানোর চেষ্টাও করে ছাত্রীরা। তবে তাতে বিশেষ ফল হয়নি। বেপরোয়া গতির পরিণতিতে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি বাসে আচমকাই ধাক্কা মারে স্কুলবাস। এর জেরে বাসের সামনের দিকের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতক্ষ্যদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, গতির কারণেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে স্কুলবাসটি। এদিকে দুর্ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন আহত ছাত্রীদের অভিভাবকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। চালক-সহ বাসটিকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

পথ দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের প্রাপ্যের তালিকায় জায়গা পেয়েছে। গত একমাসে একের পর এক পথদুর্ঘটনায় চালকের গাফিলতির দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। ১৫ দিন আগেই চিংড়িঘাটার মোড়ের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। সরকারি বাসের চালকের বেপরোয়া গতির স্বীকার হয় দুই কলেজছাত্র। সিগনাল ভেঙে সাইকেল আরোহী দুই যুবককে ধাক্কা মারে বাসটি। তারপরেই পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে সংশ্লিষ্ট এলাকা-সহ শহর কলকাতা। উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি বাসে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তার আগেই ভয়াবহ দুর্ঘটানটি ঘটে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে। কানে মোবাইল ফোন নিয়েই সাত সকালে বাসের চালকের আসনে ছিল চালক। সেখানেও বেপরোয়া গতি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে বাস পড়ে যায় জলে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৪০ জনের সলিল সমাধি হয়। পরের পর দুর্ঘটনায় চালকের আইন ভাঙার ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে। বেপরোয়া ভঙ্গি বারবার যাত্রীদের প্রাণ কাড়ছে। বলি হচ্ছেন পথচারীরা। সোমবারের দুর্ঘটনাটিও চালকের বেপরোয়া গতির কারণেই।

Advertisement

[সুখবর! পুজোর আগেই চালু হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ