৪ আশ্বিন  ১৪৩০  শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নজির কলকাতার বসতির, ‘মডেল’ করার দাবিতে WHO-কে চিঠি শান্তনু সেনের

Published by: Paramita Paul |    Posted: July 15, 2020 9:01 pm|    Updated: July 15, 2020 9:13 pm

Kolkata slum aims to be 'a model better than Dharavi' in India in Corona contraol

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে নজির গড়েছে মুম্বইয়ের ধারাভি বসতি। সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে কলকাতার বেলগাছিয়া বসতিও। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশংসা কুড়িয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বসতি ধারাভি। তাহলে কেন প্রশংসা পাবে না কলকাতার অন্যতম বৃহত্তম এই বসতি? কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের মডেল হওয়া উচিৎ বেলগাছিয়া বসতির। এই দাবি জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তনু সেন।

বাংলায় রেকর্ড ভাঙা সংক্রমণ হচ্ছে প্রতিদিন। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। যা প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, কলকাতার বিভিন্ন বসতিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। তুলনায় আবাসন ও ফ্ল্যাট বাড়িতে সংক্রমণ অনেক বেশি। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যা অনুযায়ী, ধারাভিতে আক্রান্ত হয়েছেব ২৩০০ জন। সেখানে এক লক্ষের বেশি জনসংখ্যার বেলগাছিয়া বসতিতে সংক্রমিতের সংখ্যা মাত্র ১৪। দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজন বাদে সকলেই সেরে উঠেছেন। নিসন্দেহে এই বসতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া প্রশংসনীয়। এনিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চিঠি লিখেছেন কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু সেন।

এ প্রসঙ্গে শান্তনুবাবু বলেন, “বেলগাছিয়া বসতিতে যখন প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল, সকলে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। অনেকে ভেবেছিলেন, বসতি এলাকায় ভয়ংকর আকার নেবে এই সংক্রমণ। কিন্তু তা হয়নি। সংক্রমণ নিয়্ন্ত্রণ করা গিয়েছে। এটা আমাদের নয়, ওখানকার মানুষের সাফল্য। তাঁরা প্রচুর আত্মত্যাগ করেছেন। সেই ত্যাগ আর প্রচেষ্টার প্রশংসা পাওয়া উচিৎ। বেলগাছিয়া বসতিতে গোটা দেশের মডেল করা উচিৎ।” একইসঙ্গে বিজেপির সমালোচনা করে তৃণমূল সাংসদ তথা বেলগাছিয়ার কাউন্সিলর বলেন, বিজেপি এটা নিয়ে জাতপাতের রাজনীতি করতে শুরু করেছিল। কিন্তু লাভ হল না।

কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেল এই সংক্রমণ?
শান্তনুবাবু জানান, প্রথম আক্রান্তের হদিশ মেলার পর থেকেই কলকাতা পুরসভা কড়া নজর রাখতে শুরু করে। শুরু হয় ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। মাইক্রো প্ল্যানিং করে পুরসভা। ঘনঘন স্যানিটাইজ করা হচ্ছিল পুরো বসতি। এসবের পাশাপাশি, আইসিএমএরের নির্দেশিকা মেনে প্রত্যেক বসতিবাসীকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়েছে। তবে বসতির বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভার তরফে তাঁদের কাউন্সিলিং করা হত। ঘরে থাকার জন্য বোঝানো হত। এই যুদ্ধজয় করতে তাঁদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে ওই কাউন্সি্লিংই।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে