সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে। রথযাত্রা পেরিয়ে গেলেও সেইমতো বায়না না পেয়ে মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের। আর তার মধ্যেই এল আরও একটা খারাপ খবর। প্রয়াত হলেন কলকাতার দুর্গাপুজোর বিখ্যাত মৃৎশিল্পী অরুণ পাল। শনিবার তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পটুয়াপাড়া থেকে শুরু করে কলকাতার পুজো শিল্পীমহলে।
দুর্গাপুজোয় উত্তর কলকাতায় যেমন বাগবাজার সর্বজনীন ঠিক তেমনই দক্ষিণে আড্ডাপীঠ হিসাবে একবাক্যে ম্যাডক্স স্কোয়্যারের নাম আসবে মুখে। অরুণবাবু দীর্ঘ একদশক ধরে ম্যাডক্স স্কোয়্যারের সাবেকি প্রতিমার নেপথ্য কারিগর ছিলেন। এদিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৫৫।
বেহালার বাসিন্দা অরুণ পাল ছিলেন প্রবাদপ্রতীম শিল্পী অমর পালের সুযোগ্য জ্যেষ্ঠপুত্র। কলকাতার বিভিন্ন পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল তাঁর নাম। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য হল ম্যাডক্স স্কোয়্যার। গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের ছাত্র অরুণবাবু কলকাতার দুর্গাপুজোয় তাঁর বাবার মতোই নাম করেছিলেন।
রনো বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ দে, অনির্বাণ দাস, বিমল সামন্তর মতো বহু নামী থিমশিল্পী, পুজো কমিটির সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। কলকাতার নামী দামি পুজোর থিমশিল্পীর সঙ্গে একযোগে উচ্চারিত হত তাঁর নাম। বহু পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। সাবেকি ঘরানার সঙ্গে থিমকে মিশিয়েছিলেন তিনি। তাই তাঁর কাজ বহু কলা গুণগ্রাহীর চোখকে আরাম দেয়।
তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ছিল। শনিবার সমস্যা বাড়াবাড়ি জায়গায় চলে গেলে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। তারপর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর এই অকালপ্রয়াণে বিসর্জনের বিষাদ কলকাতার পুজো মহলে। আর তাঁর মতো এমন গুণী শিল্পীকে হারিয়ে যেন মণিহারা হল পটুয়াপাড়া।