Advertisement
Advertisement

১১৫টি দেশ ঘুরে বিশ্ব পর্যটনে অনন্য নজির প্রবাসী বাঙালি ব্যবসায়ীর

লক্ষ্য, ২০০টি দেশ ভ্রমণ।

Kolkata’s ‘Phileas Fogg’ tours 115 countries
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 12, 2018 10:25 am
  • Updated:September 12, 2019 1:53 pm

রিংকি দাস ভট্টাচার্য:  বিশ্বের ১১৫টি দেশ ঘুরেও ক্নান্ত নন কানাডা প্রবাসী বাঙালি ব্যবসায়ী প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লক্ষ্য, ২০০টি দেশ ভ্রমণ। ভ্রমণের নেশায় বেশিদিন চাকরিও করতে পারেননি বছর বাষট্টির মানুষটি। এখন কানাডায় ব্যবসা করেন তিনি। কাকার ব্যবসা অবশ্য সামলান ভাইপো। আর স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে বিশ্বের নানা দেশে ঘুরে বেড়ান প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, ‘ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখেছি, দু’-একজন বাঙালি পর্যটক আশিটার মতো দেশ ঘুরেছেন। আমি পা রেখেছি ১১৫টিতে। তবে এখানেই থেমে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। আরও অন্তত আশি-পঁচাশিটা দেশে ঘুরতে চাই।’

[বেতনের টাকায় পুরুলিয়ার গ্রামে আবাসিক স্কুল, মানবিকতার নজির কনস্টেবলের]

Advertisement

আদপে এই শহরেরই মানুষ প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভবানীপুরে। জামালপুরে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। পরে পাড়ি দেন জার্মানিতে। এখন পাকাপাকিভাবে কানাডায় থাকেন প্রসাদবাবু। তবে ভ্রমণের নেশায় চাকরি ছেড়েছেন। কানাডায় জমিয়ে ব্যবসা করছেন ভ্রমণবিলাসী মানুষটি। কর্পোরেট জগতের মানুষের বিভিন্ন বিলাসবহুল গাড়ি ভাড়া দেন তিনি। আমেরিকা ও কানাডার কর্পোরেট জগতে রীতিমতো পরিচিত নাম প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, নিজের ব্যবসা সামনে এত দেশ ঘোরার সময় পান কী করে?  প্রবাসী বাঙালি ব্যবসায়ী জানালেন, ‘কলকাতা থেকে ভাইপোকে ডেকে নিলাম। সঙ্গে পেয়ে গেলাম কয়েকজন বিশ্বস্ত দেশীয় কর্মচারী। ওঁদের হাতে ব্যবসাপত্তর দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম নতুন দেশ ঘোরার নেশায়।’ তবে একা নন। সপরিবারে। প্রসাদবাবুর অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গী তাঁর স্ত্রী রূপা ও ছেলে রনিও।

Advertisement

[মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সহায় হয়ে রাস্তায় ‘ছাত্রবন্ধু’ অটো]

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে শুধু যে মধুর অভিজ্ঞতাই হয়েছে, এমন নয়। বেশ কয়েকবার সমস্যায়ও পড়তে হয়েছে প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঘোড়ায় চড়ে মরক্কোয় ঘুরতে ঘুরতে নিজের অজান্তে হারিয়ে গিয়েছিলেন গভীর জঙ্গলে। ফেরার সময় যখন বুঝতে পারলেন, ছেলে ও গাইডের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, ততক্ষণে দিনের আলো নিভতে বসেছে। গভীর জঙ্গলে হিংস্র জন্তুর ভয় তো ছিলই, মোবাইলের টাওয়ারও পাচ্ছিলেন না। কয়েক ঘণ্টা পর ছেলে ও গাইডের হদিশ পেয়েছিলেন প্রসাদবাবু। ইজরায়েলে যাওয়ার পথে আবার প্রবল ভূমধ্যসাগরে ডুবতে বসেছিল জাহাজ। কোনওরকমে রক্ষা পান। বস্তুত, প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রমণের বিশেষত্বই হল সমুদ্রপথ। পৃথিবীর নামকরা প্রায় সবকটা ক্রুজে চড়েছেন তিনি। বিমানে চড়ে দেখে এসেছেন এভারেস্টও!

[পরীক্ষার্থী ১১ লক্ষ, মাধ্যমিকে এই প্রথম বসছে না কোনও জেলবন্দি]

সপরিবারে থাকে কানাডায়। ঘুরে বেড়ান বিশ্বের নানা দেশে। কিন্তু, নিজের শিকড়কে ভোলেননি প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও নিয়ম করে বছরে একবার কলকাতা আসেন। সপ্তাহ দুয়েক থেকে যান ভবানীপুরের বাড়িতে।

[ট্রেনের ‘সময় চুরি’ রুখতে ৪১ জংশন স্টেশনে নয়া ব্যবস্থা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ