সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের কাছে নিদর্শন তৈরি করল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। দেশের প্রথম স্থাপত্য হিসেবে এখানেই বসল স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন।
[ রাতের শহরে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে অ্যাসিড হামলা, জখম ছয় ]
কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল অন্যতম বিখ্যাত সৌধ। শতবর্ষে পা দিতে চলা এই সৌধ দর্শন করতে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসে। ২০১৭ সালের হিসাব বলছে সেবছর ৩৬ লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থী ভিক্টোরিয়ায় ঘুরতে এসেছিল। দর্শনার্থীদের মধ্যে ১৫ লক্ষ মহিলা। শুধু রাজ্যের নয়, ভিন রাজ্য এমনকী, বিদেশ থেকেও মহিলা দর্শনার্থীরা আসেন। শহর কলকাতায় ব্রিটিশ স্থাপত্য দেখতে এসে মেনস্ট্রুয়েশনের মতো শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া শুরু হলে বিড়ম্বনার শেষ নেই। মহিলাদের এজাতীয় সমস্যা থেকে রেহাই দিতেই এবার ভিক্টোরিয়া চত্বরে বসেছে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন।এই উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। এই প্রসঙ্গে সমাজতত্ত্ববিদ রুবি সাইনের মত, নয়া পদক্ষেপে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এমন একটি সিদ্ধান্ত জরুরি ছিল। সামাজিক ছুৎমার্গ এতদিন এই পদক্ষেপ নিতে দেয়নি। মেনস্ট্রুয়েশন নিয়ে কেউ আলোচনা করতেই চান না। একে খুব সাহসী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। এখন যখন তখন মহিলারা ভিক্টোরিয়ায় ঘুরতে যেতে পারবেন। তাঁদের কোনও বাধা থাকবে না। পিরিয়ডের সমস্যা হলে তাঁরা ভেন্ডিং মেশিনের বোতাম টিপে নিজেরাই বের করে নিতে পারবেন স্যানিটারি ন্যাপকিন।
[ নেই ডিগ্রি, তবুও আশুতোষ কলেজে ১৪ বছর অধ্যাপনা করছেন মহিলা ]
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটর জয়ন্ত সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, মহিলাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি। তাই তাঁরা শৌচালয়ের দিকে নজর দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন। শুধু বিদেশি পর্যটক নয়। গ্রাম থেকেও প্রচুর মহিলারা এখানে বেড়াতে আসেন। মেনস্ট্রুয়েশনের সমস্যা হলে তাঁদের তখনই ওষুধের দোকানে ছুটতে হয়। এই সমস্যার সমাধান করতেই ভেন্ডিং মেশিনের কথা ভাবা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ এরপর একটি মাদার-চাইল্ড রুম করার পরিকল্পনা করেছে। এখানে মায়েরা বাচ্চাকে স্তন্যপান করাতে পারবেন। ভারতীয় জাদুঘরে ইতিমধ্যেই এমন একটি রুম নির্মাণ করা হয়েছে। এই কাজ সাড়াও ফেলেছে। এর পাশাপাশি আধুনিক জিনিসপত্র-সহ শিশুদের একটি খেলার ঘর নির্মাণেরও পরিকল্পনা চলছে।