Advertisement
Advertisement

Breaking News

বনধ ও প্রতিবাদ কর্মসূচির গেরোয় বিভ্রান্ত আমজনতা

বিরোধী-জোট তৈরি হলেও বনধের ইস্যুতে নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকছেন তৃণমূলনেত্রী৷

Left calls bandh, West Bengal CM to oppose
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 26, 2016 3:27 pm
  • Updated:November 26, 2016 3:27 pm

স্টাফ রিপোর্টার: একেই বলে গোদের উপর বিষফোড়া!

একে নোট কাণ্ডের জেরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে৷ তার মধ্যেই সোমবার বাংলা বনধ ডেকে দিয়ে সেই দুর্ভোগকে চরমতর করে দিয়েছে রাজ্যের বামদলগুলি৷ তবে পশ্চিমবঙ্গে আর কোনও বনধের স্বর্গরাজ্য নয়৷ বনধের দিন খোলা থাকবে সমস্ত সরকারি অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজ৷ ওই দিন রাজ্য সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করতে শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন৷ ওই দিন অফিসে আসতে হবে সরকারি কর্মীদের৷ অন্যথায় মাইনে কাটা যাবে৷ সার্ভিস বুকেও ছেদ পড়বে৷ বনধের দিন রাস্তায় থাকবে পর্যাপ্ত যানবাহন৷ চলবে সরকারি বাস, ট্রাম৷ এক কথায় কর্মনাশা বনধের দিন রাজ্যকে কর্মমুখর করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার৷ মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য অন্য বনধের দিন সরকার যা যা ব্যবস্থা নেয়, সোমবারও তা বহাল থাকবে৷ এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি হচ্ছে৷

Advertisement

যে নোট ভোগান্তি ইস্যুতে বামেরা বন্ধ ডেকেছে সেই ইস্যুকে প্রথম থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এটা যে সিপিএম নেতাদের পছন্দ হচ্ছিল না, তা বোঝা যাচ্ছিল৷ মমতার পালের হাওয়া কাড়তে তাই কিছু একটা অতিরিক্ত করে নিজেদের প্রচারের আনার চেষ্টায় ছিল বামপন্থীরা৷ অগত্যা গতানুগতিক সেই বনধ৷ চিরাচরিত অভ্যাসমতো তাই পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সোমবার৷ স্বাভাবিকভাবেই গর্জে উঠেছেন মমতা৷ সাফ বলেছেন, “একেই মানুষের দুর্ভোগ চলছে৷ আর বনধ হলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে৷ তা ছাড়া দিল্লিতে বিরোধী দলের মিটিংয়েও এ নিয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি৷ আমরা কোনও বনধকেই সমর্থন করি না৷” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, “বনধ নয়৷ আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাব৷ কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা মিছিল হবে ওইদিন৷ আমি সেই কর্মসূচিতে থাকব৷” নোটকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজ্যে কোনও কোনও দল বনধ ডাকছে সোমবার৷ তাতে শামিল হয়েই শুক্রবার বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এক বিবৃতিতে জানান, ওইদিন ১৮টি বামদল রাজ্যে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছে৷ জরুরি পরিষেবা ছাড়াও ধর্মঘটের আওতা থেকে ব্যাঙ্ক-এটিএম, ডাকঘর বাদ থাকবে৷ ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বনধের রাজনীতির বিরোধিতা করে আসছেন তৃণমূলনেত্রী৷ গত ৬-৭ বছরে বাম দলগুলি পরপর বনধ করে গেলেও মমতার দল একটিও বন্ধ ডাকেনি৷ উল্টে বনধের দিন যাতে পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে, সেদিকেই নজর দিয়েছে প্রশাসন৷ বিরোধী-জোট তৈরি হলেও বনধের ইস্যুতে নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকছেন তৃণমূলনেত্রী৷

Advertisement

বস্তুত, নোটকাণ্ডে দেশজুড়ে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ প্রথম প্রতিবাদী হয়েছিলেন মমতাই৷ তার পর একে একে সরব হতে থাকে সব বিরোধী দলই৷ এমনকী, এই ইস্যুতে কোনও ছুৎমার্গ না রেখে একসঙ্গে লড়াই করার জন্য সিপিএমের সর্বভারতীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কাছে পর্যন্ত আহ্বান রাখেন মমতা৷ সংসদেও যৌথ উদ্যোগে লড়াই চলছে৷ দিল্লিতে গিয়ে যন্তরমন্তরে মমতার বিক্ষোভের পর শাসকপক্ষ চরম চাপে পড়ে গিয়েছে৷ এর মধ্যেই আচমকা বাম-সহ কয়েকটি দল ২৮ তারিখ বন্ধ ডেকে বসেছে৷ যদিও বিরোধী দলগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই দিন আক্রোশ দিবস পালন করা হবে৷ বন্ধ নিয়ে কোনও কথাই হয়নি৷ মমতা সে কথাও বামপন্থীদের মনে করিয়ে দেন৷ ওইদিনই মমতার লখনউ যাওয়ার কথা৷ তিনি প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেওয়ার পর উত্তরপ্রদেশ রওনা হবেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ