Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাম ছাত্র-যুবদের আন্দোলনে পুলিশের ‘অত্যাচার’, প্রতিবাদে বাংলা বন্‌ধের ডাক বামফ্রন্টের

বৃহস্পতিবার তাঁদের নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

Left organizations calls 12 hour bandh in West Bengal against police atrocities |SangbadPratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 11, 2021 5:14 pm
  • Updated:February 11, 2021 6:22 pm

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্‌ধের ডাক বামপন্থীদের (Left front)। রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার দিবস পালিত হবে। বামেদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানাল কংগ্রেসও। সাধারণ মানুষকে বন্‌ধ সফল করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

শূন্যপদ পূরণ, সকলের জন্য খাদ্য, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের নবান্ন (Nabanna) অভিযানের শুরুতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই আচমকা একেবারে নবান্নের সামনে চলে আসেন সিপিএম বিধায়ক তথা বাম ছাত্র নেতা ইব্রাহিম আলি। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে তাঁদের আটকায়। ইব্রাহিম-সহ ৫ জনকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। তখনও উঁচু গলায় স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। ওঠে ‘খেলা হবে’ স্লোগানও।

Advertisement

[আরও পডুন: ‘দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এমন ভাষা মানায় না’, শাহকে কড়া জবাব মুখ্যমন্ত্রীর]

এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তি বাড়তে থাকে। বিভিন্ন দিক থেকে নবান্নমুখী মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। প্রায় চার হাজার সদস্য নবান্নের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চান বাম ছাত্র-যুবরা। প্রথমে জলকামান, টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে তাঁদের রোখার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও আন্দোলনকারীরা দমে যাননি। এরপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করলে অনেকে আহত হন, অসুস্থ হয়ে পড়েন কেউ কেউ। গুরুতর জখমদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও, তা অমান্য করে সিধু-কানু-ডহরে ঢুকে পড়েন কয়েকজন ছাত্র ও যুব। আন্দোলনকারীদের শক্তি দেখে কার্যত বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে পুলিশও।

Advertisement

[আরও পডুন: এবার যন্ত্রমানব করবে চিকিৎসা! পূর্ব ভারতে চালু প্রথম ফোর্থ জেনারেশন রোবোটিক সার্জারি]

পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষিপ্ত বাম নেতৃত্ব। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”নির্মমভাবে আমাদের তরুণ কর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। কেন এমনটা হবে? পুলিশ যে অত্যাচারীর ভূমিকা নিয়েছে, তা নিন্দনীয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বন্‌ধ ডাকা হয়েছে বাম সংগঠনগুলির তরফে।” আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য বিবৃতি দিয়ে জানান, ”আজ ১১ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনগুলির পূর্ব নির্ধারিত নবান্ন অভিযানে রাজ‍্যের ছাত্র-যুবরা শান্তিপূর্ণভাবে নবান্নে মুখ‍্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নৃশংসতার সঙ্গে মিছিলের উপরে আক্রমণ করে। নির্বিচারে লাঠি, টিয়ার গ‍্যাস ও জলকামান ব‍্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। এক চরম স্বৈরাচারী শাসকের একান্ত বিকৃত মনোবাসনা পূরণের কুৎসিত আয়োজন। আমরা তৃণমূল সরকারের এই চরম অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা করছি‌। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। রাজ‍্য বামফ্রন্ট আগামিকাল রাজ‍্যের সর্বত্র ধিক্কার দিবস পালন ও ১২ ঘন্টার হরতালের ডাক দিয়েছে‌। এই হরতাল সফল করতে উদ‍্যোগ গ্রহণ করুন‌।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ