Advertisement
Advertisement
DYFI

বাম যুবাদের সভায় জনজোয়ার, ‘বাম মানেই বৃদ্ধতন্ত্র নয়, দেখুন কালো চুলের ঢল’, হুঙ্কার সেলিমের

বাম ছাত্র-যুবাদের মিছিল, সভায় অবরুদ্ধ ধর্মতলা।

Left student organizations hold 'Insaf Sabha' in Kolkata | Sangbad Pratidin

ছবি: শুভাশিস রায়।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 20, 2022 5:55 pm
  • Updated:September 20, 2022 6:21 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাম মানেই বৃদ্ধতন্ত্র। বাম মানেই সাদা চুলের সমাহার। এই মিথ ভেঙে দিল কলকাতায় SFI, DYFI-এর ‘ইনসাফ সভা’। কলকাতা দেখল, কালো চুলের জোয়ার। মঙ্গলবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ থেকে এমনই দাবি করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রাজ্য সম্পাদক যখন এই বক্তব্য রাখছেন, শহরের প্রাণকেন্দ্র তখন অবরুদ্ধ। ধর্মতলার মোড়ে তখন লালঝড়। চারিদিকে জড়ো হয়েছেন বামেদের ছাত্র-যুবারা।

আনিস খানের মৃত্যু, নিয়োগে লাগাতার দুর্নীতির মতো ইস্যু নিয়ে ‘ইনসাফ সভা’র আয়োজন করেছিল বামেদের ছাত্র-যুব সংগঠন। ডাক দিয়েছিল ‘ধর্মতলা চলো’। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে হাওড়া-শিয়ালদহ-পার্ক স্ট্রিট চত্বর থেকে কাতারে কাতারে বাম সমর্থকরা জড়ো হয় ধর্মতলা চত্বরে। প্রথমে ওয়াই চ্যানেলে সভা শুরু হয়েছিল। কারণ ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করার অনুমতি মেলেনি। সভা শুরু হয়ে গেলেও পরে ভিড়ের চাপে সভাস্থল পরিবর্তন করতে বাধ্য হন আয়োজকরা।

Advertisement

Advertisement

[আরও পড়ুন: SSC Scam: ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্য ভূমিকা ছিল সুবীরেশের’, আদালতে সওয়াল CBI আইনজীবীদের]

ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে লরির উপর অস্থায়ী মঞ্চ বাঁধা হয়। সেখানে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, SFI-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যরা। ছিলেন আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সেলিম খানও।

ধর্মতলার মঞ্চ থেকে সেলিমের হুঁশিয়ারি, “এবার SFI, DYFI-এর কোনও মিছিল, সভা হলে আর অনুমতির কথা বলবেন না। পুলিশকে বলছি, এরপর আর সাহস দেখাবেন না। জেলায় জেলায় মানুষ পথে নামছে। মানুষের মন তৃণমূল বুঝতে পারছে না। ছদ্ম বিরোধী বিজেপিও বুঝতে পারছে না। পুলিশও বোঝেনি।” এই আন্দোলনকে বুথে বুথে পৌঁছে দিতে হবে বলে ডাক দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। 

[আরও পড়ুন: এবার পুজোয় ভারতের ঐতিহ্য ও লোকশিল্পকে উদযাপন করবে চালতাবাগান]

এদিন দুপুর থেকে বাম ছাত্র-যুবাদের মিছিল, সভায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা। যার দরুন ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমজনতাকে। ধর্মতলা সংলগ্ন সি আর অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণি এলাকায় পুরোপুরি গাড়ি চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। রাজভবন থেকে ধর্মতলার দিকেও গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেন্ট্রাল এবং লেনিন সরণি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ