Advertisement
Advertisement
লকডাউন

গোটা রাজ্যে বাড়ল লকডাউনের সময়সীমা, হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিটে মুখ্যমন্ত্রী

আগামী ছ'মাসের জন্য বিনামূল্যে মিলবে রেশন।

Lock down till 31st March in West Bengal in fight against Coronavirus
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:March 24, 2020 3:54 pm
  • Updated:March 24, 2020 7:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ মার্চ নয়, গোটা রাজ্যে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকবে। সেই সঙ্গে COVID-19 মোকাবিলায় বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।

মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রতি সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই কারণেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। গোটা রাজ্যে ৩১ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। এদিন বিকেল ৫টা থেকে এই নির্দেশ বলবৎ হবে। সেই সঙ্গে নতুন ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের ঘোষণাও করেন তিনি। কী এই প্রকল্প? দিনমজুরদের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্প ঘোষণা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দিন আনি দিন খাই মানুষগুলো তো বাড়ি থেকে বেরতে পারছে না। তাই ওদের জন্য প্রচেষ্টা প্রকল্প। এর মাধ্যমে প্রত্যেক দিনমজুর পরিবারকে মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে আগামী ছ’মাসের জন্য বিনামূল্যে মিলবে রেশন। পাঁচ কেজি করে চাল-ডাল পাবেন সাধারণ মানুষ।” এখানেই শেষ নয়, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য একটি ত্রাণ তহবিলও খোলা হল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সাধ্যমতো অনুদান দিতে পারবেন যে কেউ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় আর্থিক ছাড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের]

সোমবার বিকেল ৫টায় রাজ্যজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত স্কুল-কলেজ-পরিবহণ ব্যবস্থা, সিনেমা হল, শপিং মল ইত্যাদি বন্ধ। তা সত্ত্বেও সবজি বাজার কিংবা ওষুধের দোকানে লম্বা লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, “খুব প্রয়োজন না হলে বাজারে যাবেন না। অযথা ভিড় করবেন না। পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। মাস্ক পরে থাকুন।” জরুরি পরিষেবা হিসেবে খবরের কাগজ মানুষের বাড়িতে সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে দেওয়ারও পরামর্শ দেন মমতা। সাংবাদিক বৈঠকের পরই শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গে সারপ্রাইজ ভিজিটে বেরিয়ে পড়েন তিনি। পৌঁছে যান আর জি কর হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার ও প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার। এরপরই পৌঁছে যান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। হাজির হন এনআরএস এবং এসএসকেএম হাসপাতালেও। সেখানেও মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেন কর্তৃপক্ষের হাতে।

[আরও পড়ুন: করোনায় মৃত প্রৌঢ়ের দেহ নিতে অস্বীকার পরিজনের, নিমতলায় সৎকারে বাধা পুলিশকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ