Advertisement
Advertisement
Loudmouth

বিতর্কিত বক্তাদের জনসভায় সমস্ত ভাষণ রেকর্ডের নির্দেশ কমিশনের

বক্তার সোশ্যাল সাইটেও নজরদারি।

Loudmouth leaders under Election Commission scanner
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 23, 2019 6:45 pm
  • Updated:March 23, 2019 6:45 pm

শুভঙ্কর বসু: এবার সমস্ত বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য টেপ করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, অতীতে কুকথা বলার অভ্যাস রয়েছে এমন নেতার একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। ওই সব নেতাদের দৈনন্দিন বক্তব্যের টেপ রাখার পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমে আসা বক্তব্যের ক্লিপিংস ও কাট আউট রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শুধু বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যই নয়, এবার প্রার্থীদের বক্তব্য এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির দিকেও কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার মিডিয়া মনিটরিং সেলগুলিকে। মূলত প্রার্থীদের তরফে আদর্শ নির্বাচনী বিধির পরিপন্থী কোনও প্রতিশ্রুতি শোনা গেলে জেলাগুলিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তা কমিশনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য সাধারণ মানুষকে ছবি ও ভিডিও-সহ অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে কমিশন। কমিশনের অ্যাপ সি-ভিজিলের মাধ্যমে যেকোনও ব্যক্তি সরাসরি কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কমিশন। জেলাগুলিকে এব্যাপারে কড়া নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শাসক ও বিরোধীদের মন্তব্য পালটা মন্তব্যের জেরে অভিযোগ পালটা অভিযোগের পালা অব্যাহত। কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েক জন নেতাকে শো-কজ করেছে কমিশন। শো-কজের উত্তরও জমা দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু নির্দিষ্ট করে কোনও একজন নেতার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ এলে সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

পাশাপাশি প্রার্থীদের বক্তব্য কোনওভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করছে না কি সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। ইতিমধ্যেই কমিশন আয়কর দপ্তর ও অবজারভারদের হাতে যে রিপোর্ট তুলে দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে রাজে্য আর্থিকভাবে কোনও স্পর্শকাতর বুথ নেই। অর্থাৎ এরাজ্যে টাকা দিয়ে ভোট কেনাবেচার কোনও অতীত ইতিহাস নেই। সেসব সত্ত্বেও কোনও প্রার্থী ভোটারদের অর্থের প্রলোভন দিচ্ছেন নাকি বা তাঁর বক্তবে্যর মাধ্যমে তেমন কোনও বিষয় উঠে এসেছে না কি সেদিকেও বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। প্রতিটি জেলায় মিডিয়া মনিটরিং কমিটিতে একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করা হয়েছে। সোশ্যাল সাইটে কোনও আপত্তিকর তথ্য দেখলেই তা কমিশনের নজরে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ