সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলিনিপাড়ায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি নিয়ে ফের নাম না করে বিজেপিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, ‘রমজান মাসে একটা দল দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে বাংলায়। কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না। ওদের কাজই হল দাঙ্গা করা। পুলিশকে বলেছি, যে দাঙ্গা করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। কাউকে ছাড়া হবে না। অশান্তি করলেই গ্রেপ্তার।’ পাশাপাশি তিনি এদিন হুগলির জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘যাঁদের বাড়িঘর পোড়ানো বা জ্বালানো হয়েছে, তাঁদের সাহায্য করুন। তেলেনিপাড়ায় যে গন্ডগোল হয়েছে, সেখানে কাদের বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে, তার তালিকা তৈরি করে পাঠাবেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এর জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করুন।’
এদিন চতুর্থ দফার লকডাউনের গাইডলাইন নিয়েও আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেছেন, ‘আমরা চাইছি আরও দোকানপাট খুলুক। করোনা ভাইরাস থাকবে। কিন্তু তার মধ্যেই গ্রামীণ জাগরণ ঘটাতে হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে গ্রামীণ উন্নয়নের কাজ থেমে গিয়েছে। এদিন সেইসব কাজকর্ম চালু করার নির্দেশ দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এখন তো মৎস্য, সেচ দপ্তরের কাজ করতে অসুবিধা নেই। ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে। তার জন্য আরও বেশি লোককে কাজে লাগাতে হবে। প্রয়োজনে ভিনরাজ্য থেকে যাঁরা এসে এ রাজ্যে আটকে পড়েছেন, তাঁদেরও কাজ দিতে হবে।’ গ্রামগঞ্জে রাস্তাঘাটের হালও খারাপ হয়ে পড়েছে সংস্কারের অভাবে। সেই কাজগুলি এবার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সামনেই পুজো, তার আগেই রাস্তার কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে আরও কর্মীকে কাজে লাগাতে হবে।’
[আরও পড়ুন: তেলিনিপাড়ায় নিষ্ক্রিয় পুলিশ, প্রতিবাদে ডিএম অফিসে অবস্থান বিক্ষোভে লকেট-অর্জুন]
রেশন দুর্নীতি নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কড়া বার্তা, কেউ যেন অনাহারে না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। রেশন ডিলাররা যেন চাম-গম লুকিয়ে না রাখেন, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। দলের জেলা সভাপতিদের জেলাশাসকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- তেলিনিপাড়ায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি নিয়ে ফের নাম না করে বিজেপিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- পাশাপাশি তিনি এদিন হুগলির জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, যাঁদের বাড়িঘর পোড়ানো বা জ্বালানো হয়েছে, তাঁদের সাহায্য করুন।
- লকডাউনের ফলে গ্রামীণ উন্নয়নের কাজ থেমে গিয়েছে। এদিন সেইসব কাজকর্ম চালু করার নির্দেশ দেন মমতা।