Advertisement
Advertisement

একুশের মঞ্চে জাতীয় সংগীতের অবমাননা মুখ্যমন্ত্রীর, অভিযোগে সরব দিলীপ

মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, সারদা-নারদা নিয়ে এত ভয় কেন?

Mamata Banerjee insults National Anthem: BJP’s Dilip Ghosh
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 21, 2017 12:00 pm
  • Updated:June 23, 2022 7:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২১ শে জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশে জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিজেপি দপ্তরে দাঁড়িয়ে এমনই অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি সমাবেশে মোদি সরকারকে একহাত নেওয়ার পালটাও দিলেন তিনি। দিলীপের বক্তব্য, এদিন সমাবেশে জাতীয় সংগীত গাওয়ার পরও বক্তৃতা চালিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি বলছেন, “এতদিন জানতাম কোনও সমাবেশ বা সভার শেষে জন-গণ-মন গাওয়া হয়। এদিন দেখলাম জাতীয় সংগীতের পরও দিদি অনেকক্ষণ কথা বলে গেলেন। অন্যান্য গানও হল। নাচও হয়তো হয়েছে, সেটা আর টিভির পর্দায় দেখতে পাইনি। জাতীয় সংগীতকে এভাবে অবমাননা করার কথা শুধু তিনিই ভাবতে পারেন। আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়।”

[শহিদ দিবসের নামে শহরে ‘শহিদ’ হতে আসছেন সাধারণ মানুষ, টুইট করে বিতর্কে বাবুল]

এদিনের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ফের উঠে আসে নোট বাতিলের কথা। তিনি বলেন, নোট বাতিল করে আখেরে কোনও লাভ হয়নি। সরকারের ভাঁড়ারেই সব অর্থ ঢুকেছে। পাশাপাশি দেশ জুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর বসানো ও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধেও সরব হন মমতা। এর পালটা দিয়ে দিলীপ বলেন, দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে, দেশের ভালর জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন। এমনকী, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও জিএসটির প্রশংসা করে বলেছেন, তাঁর স্বপ্ন স্বার্থক হয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীই বারবার এর বিরোধিতা করছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলছেন। তাই বিজেপির রাজ্য সভাপতির বার্তা, আগে বাংলা বাঁচান, পরে দিল্লি দেখবেন। দিলীপ বলেন, “আধার কার্ড হলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আর এ দেশে ঢুকতে পারবে না। তাঁর দলের কর্মীদের আয়ের পথ আটকে যাবে। সেই জন্যই হয়তো তিনি আধারের বিরোধিতা করেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন হাস্যকর অভিযোগ না তুলে আগে বাংলা বাঁচান।”

Advertisement

[শহিদের মঞ্চ থেকে ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ডাক মমতার]

দিলীপের কথায় উঠে আসে সারদা-নারদা প্রসঙ্গও। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, সারদা-নারদা নিয়ে এত ভয় কেন? কেউ যখন কিছুই করেননি, তখন বুক চিতিয়ে তা ইডি, সিবিআই-কে জানিয়ে দিন। তাঁর অভিযোগ, চালাকি আর প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সমাবেশ শুধুমাত্র ছিল শক্তি প্রদর্শনের জন্য। দিলীপ বলছেন, “বাংলায় দ্বিচারিতার রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখে বলেন বিজেপির বিরুদ্ধে মিডিয়া সরব হলে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা সবাই জানি বসিরহাটে কী হয়েছিল। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেখানে। নদীয়া বা ক’দিন আগের রায়গঞ্জের ঘটনাই বলে দেয় এই রাজ্য কতটা নিরাপদ। স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালাচ্ছেন তিনি।” দিলীপ জানান, আগামী ৯ আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিন থেকেই আমাদের নয়া অভিযান শুরু হবে। তৃণমূল কংগ্রেস তোষণ ছাড়ো স্লোগান তুলে জনসাধারণের সাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ