Advertisement
Advertisement

Breaking News

মমতার ‘সবাই রাজা’ তত্ত্বে সিঁদুরে মেঘের ইঙ্গিত

ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিরোধী ঐক্যের সেনাপতি খুঁজে বের করার পর্বটিই সবচেয়ে হইহট্টগোলের হতে চলেছে।

Mamata hints tough PM post tussle
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 19, 2019 4:35 pm
  • Updated:January 19, 2019 6:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবাই নেতা, সবাই রাজা। সবাই মিলে বসে ঠিক করা হবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। ব্রিগেডের মহাসভা থেকে শেষ বার্তাটি দিয়ে দিলেন স্বয়ং উদ্যোক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বা বিরোধী জোট প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়টি যতটা গুরুত্বহীন বলে ভাবছেন, তা একেবারেই নয়। বরং ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিরোধী ঐক্যের সেনাপতি খুঁজে বের করার পর্বটিই সবচেয়ে হইহট্টগোলের হতে চলেছে। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সবাই রাজা’র তত্ব থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে গেল।

শনিবার, ২৩টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা ব্রিগেডের মঞ্চে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার পর নিজে বলতে ওঠেন সভার প্রধান আয়োজক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুর দিকে তিনি ফুঁসে ওঠেন মহাজোট নিয়ে বিজেপির কটাক্ষে। তাঁর দাবি, ‘বলে কি না, লিডার কে হবে। এখানে সবাই লিডার। কে প্রধানমন্ত্রী হবে, ভাববার দরকার নেই। আমরা সবাই মিলে সেটা ঠিক করব ভোটের পর। আপনাদের অত ভাবতে হবে না, কে প্রধানমন্ত্রী হবে। আপনারা ক্ষমতা থেকে সরবেন। আমরা এখানে সবাই নেতা। রবীন্দ্রনাথ কী বলেছিলেন – আমরা সবাই রাজা, আমাদের এই রাজার রাজত্বে।’ এখানেই থেমে থাকেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে নিজের অবস্থানও স্পষ্ট করলেন পরে। বললেন, ‘এই মহাজোট ইতিহাসের প্রয়োজনে তৈরি হয়েছে। দেশের প্রয়োজনে একজোট হয়েছে। যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে এককভাবে লড়াই করবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ আমার চাই নাকিন্তু কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে সরাতে চাই। তারপর সব দেখা যাবে।’

Advertisement

                               [লোকসভার পর ফের ব্রিগেড, পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ঘোষণা মমতার]

Advertisement

এই বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় আগেও শোনা গিয়েছে বহুবার। আগেও বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে আমি বসতে চাই না। আমার ওই পদের লোভ নেই। আর তাছাড়া ফারুক আবদুল্লা, দেবেগৌড়ার মতো এত অভিজ্ঞ নেতা থাকতে আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবা হচ্ছেই বা কেন?’ তবে শনিবার, উনিশের ব্রিগেড থেকে তাঁর বার্তায় নতুন করে জল্পনা উস্কে উঠছে। তাহলে কি বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দৌড়ে নিজেকেও অনেকটা এগিয়ে রাখছেন তিনি?  জটিলতা তৈরি হওয়ার বড়সড় জায়গাও খুলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের বক্তব্য। ‘সবাই রাজা’ হলে তো প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার জন্য বিরোধী জোটের ভেতরেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে প্রাক নির্বাচনী বিরোধী জোট কতটা ঐক্যবদ্ধ থাকবে, তা নিয়ে প্রবল সংশয় তৈরি হচ্ছে। দিল্লি দখলের পর আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে ক্ষুদ্র স্বার্থে লড়াই শুরু হয়ে যাবে না তো? বিরোধী ঐক্যের যত না সুফল, তার চেয়ে বেশি কুফল কিন্তু এখন থেকেই দেখছেন রাজনীতির ধুরন্ধর কারবারিরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ