Advertisement
Advertisement

Breaking News

চোলাইয়ের কারবারের রমরমা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ মমতার

মন্ত্রীদের এলাকায় নজরদারির নির্দেশ৷

 Mamata stern on Hooch tragedy
Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 1, 2018 11:05 am
  • Updated:December 1, 2018 11:05 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি চোলাই তৈরির কারখানা৷ এ বিষয়ে শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেন নিজ নিজ এলাকায় নজর রাখছেন না মন্ত্রীরা? এ দিনের বৈঠকে সকলের উদ্দেশ্যে সেই প্রশ্নই ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ মন্ত্রীদের তিনি বিধানসভা এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর এবং পুলিশ ও আবগারি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷

[কর্মপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য]

Advertisement

সূত্রের খবর, চোলাই বন্ধে রাজ্যের আবগারি দপ্তরের কাজকর্মেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আবগারি দপ্তরের নজরদারির গাফিলতিতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে জেলাগুলিতে এই বেআইনি মদের কারখানা গজিয়ে উঠছে৷ এমনটাই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে শুক্রবারই পূর্ব বর্ধমানের কালনার প্রশাসনিক সভাতেও বিষমদ কাণ্ডে উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা৷ সেখানে তিনি বলেন, “শান্তিপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক৷ আমি বুঝতে পারছি না, কেন ওঁরা বিষমদ খেতে গেল৷ আমার মনে হয় ওঁরা জেনে বুঝে বিষমদ খাইনি৷ ওঁদের পরিবারের কী দোষ বলুন৷ আমরা চাই, ওরা ভাল থাক৷ রাজ্য সরকার ওদের পাশে আছে৷ রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে৷ আমি চাই, রাজ্যে যেন এই ধরনের কোনও ঘটনা আর না ঘটে৷’’ এমনকী, সেখানেও রাজ্য পুলিশ ও আবগারি দপ্তরের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপরেই তৎপর হয় প্রশাসন৷ বেআইনি চোলাইয়ের কারখানার খোঁজে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে আবগারি দপ্তর ও পুলিশ৷ সেই খোঁজে নেমেই উলুবেড়িয়া ও ঘাটাল থেকে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি চোলাই উদ্ধার হয়৷

Advertisement

[মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর, এক ধাক্কায় অনেকখানি কমছে গ্যাসের দাম]

বিষমদ খেয়ে নদিয়ার শান্তিপুরে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের৷ গুরুতর অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে৷ এই ঘটনার পরই ওই জেলার দায়িত্বে থাকা আবগারি দপ্তরের তিন আধিকারিক ও পুলিশের আট কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসনের শীর্ষ মহল৷ ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সরকার৷ ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গণেশ হালদার-সহ মোট পাঁচজন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ