কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: আইন লঙ্ঘন করে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে চমকানোর অভিযোগ শহরে। কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে ভয় দেখাতে গিয়ে শহরের বিশিষ্ট পুলিশকর্তার বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেয় অভিযুক্ত যুবক। আর এই নয়া পরিচয়ের গেরোয় নিজেই এখন পুলিশ হাজতে প্রহর গুনছে। ধৃতের নাম রিয়াজুদ্দিন আহমেদ। রবিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের সিটিসেন্টারের কাছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রিয়াজুদ্দিন আহমেদ মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালিয়ে আসছিল। তখন সিটিসেন্টারের কাছে দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগর ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর বিপ্লব কুমার মণ্ডল। তিনি দেখেন, অভিযুক্ত যুবক সিগন্যাল ভেঙেছে। এমনকী, মাথায় হেলমেটও নেই। এই দেখেই রিয়াজুদ্দিনকে আটকান তিনি। থানায় নিয়ে যেতে চাইতেই স্বমূর্তি ধরে ওই যুবক। জানায়, এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) অনুজ কুমার শর্মা তার বন্ধু। তাই বন্ধুবরের সঙ্গে একবার কথা বলে তাকে যেন ছেড়ে দেন ইন্সপেক্টর। বিষয়টিতে কৌতুক অনুভব করেন বিপ্লববাবু। কেননা, সল্টলেকের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ট্রাফিক সামলাতে গিয়ে তাঁকে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তাই উত্তেজিত না হয়ে অভিযুক্তকে ফোন করার অনুমতি দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রিয়াজুদ্দিন ফোনটি ইন্সপেক্টরের দিকে এগিয়ে দেয়। ফোনের ওপার থেকে একজন বলেন, এডিজি বলছি। ওকে ছেড়ে দিন। এরপরেই নিজের মোবাইলে থাকা অনুজ কুমার শর্মার নম্বরটি বের করেন বিপ্লব কুমার মণ্ডল। তারপর মিলিয়ে দেখতেই তাঁর চোখে চুরি ধরা পড়ে যায়। এবার অভিযুক্তকে একপ্রকার টানতে টানতেই থানায় নিয়ে যান তিনি। রিয়াজুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে এদিনই বিধাননগর আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
[বর্ষা বিদায় নিতেই শীতের আমেজ ফিরছে শহরে]
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত রিয়াজুদ্দিনের বাড়ি মানিকতলা এলাকায়। সে দুবাইয়ের একটি ব্যাংকে কর্মরত। ছুটিতে বাড়ি এসেছে। অন্যদিকে এডিজির নাম করে যার সঙ্গে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের কথা বলিয়ে দিয়েছিল, তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছ। তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর, ফোনের ওপারের ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের কোনও এক ইন্সপেক্টরের ছেলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর থানার পুলিশ।