অর্ণব আইচ: ভরদুপুরে খাস কলকাতায় খুন! কালীঘাট থানার বেণীনন্দন স্ট্রিটের উপর সোনা-রুপোর দোকানের কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ। অভিযুক্ত স্থানীয় এক যুবক। বচসা থামাতে এলে অভিযুক্ত যুবক তাঁর কিশোর ছেলেকেও কোপ মারে বলে অভিযোগ। সে এসএসকেএম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত পলাতক।
মৃত যুবকের নাম সৌমেন ঘড়া। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। কালীঘাটের একটি সোনার দোকানে ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন। ওই সোনার দোকানে সংস্কারের কাজ চলছে। একটি মালবাহী গাড়ি রাবিশ নিতে আসে। তা তুলে বেণীনন্দন স্ট্রিট ধরে হরিশ চ্যাটার্জি রোডে ওঠার আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী সন্দীপ আগারওয়ালের দোকানে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তাতে দোকানের একাংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তা নিয়ে বচসায় জড়ায় গাড়ির চালক ও ওই ব্যবসায়ী। চিৎকার শুনে সোনার দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন সৌমেন।
সেই সময় স্থানীয় যুবক খুনে অভিযুক্ত অশেষ সরকার ওরফে পিকলু ঘটনাস্থলে এসে চোটপাট করতে থাকেন। পিকলুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সৌমেন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎ ছুরি বার করে সৌমেনের বুকে, পেটে, ঘাড়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সৌমেন।
এই ঘটনা দেখে ছুটে আসে অভিযুক্ত পিকলুর কিশোর ছেলে অঙ্কুর সরকার। সে পিকলুকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, ছেলকেও কোপায় পিকুল। সেও রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা ছুটে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত যুবক। আহত সৌমেন ও অঙ্কুরকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাওড়ার বাসিন্দা সৌমেনকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন অঙ্কুর।
পিকলুর বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পিকলু। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.