Advertisement
Advertisement

Breaking News

সোনাগাছিতে টাকা উড়িয়ে ছিনতাইয়ের নাটক, ধৃত কর্মী

মায়ার বাঁধন কাটিয়ে হুঁশ ফিরতেই নিজেকে বাঁচাতে ডাকাতির গল্প ফাঁদে যুবক৷

Man lodged an FIR for the money he spent in brothel
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 15, 2016 3:17 pm
  • Updated:December 15, 2016 3:17 pm

অর্ণব আইচ: মালিকের টাকা নিয়ে সোনাগাছির যৌনপল্লিতে দিনভর ফুর্তি৷ পকেটে কড়কড়ে নতুন নোটে পঞ্চাশ হাজার টাকার গরমে নাচ, গান, মালিশ, সুরা পান থেকে শুরু করে যা যা শখ সবই পূরণ করে নেয় সে৷ মনমোহিনীদের মায়াজালে পড়ে পকেট উজাড় করে দেয় মণিকান্ত সিং নামে ওই যুবক৷ তবে টাকাটা তো মালিকের, মায়ার বাঁধন কাটিয়ে বের হতেই হুঁশ ফিরল তার৷ তাই মালিককে জবাব দিতে নিজেই নিজের হাত কেটে ডাকাতির গল্প ফেঁদে থানায় অভিযোগ জানায়৷ মঙ্গলবার চলন্ত ট্যাক্সিতে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা৷ অবশেষে প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার হল অভিযোগকারী যুবককেই৷

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মণিকান্ত সিং কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী৷ মঙ্গলবার সংস্থার মালিক মণিকান্তকে চেক দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পাঠান৷ বিয়ারার চেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে সোজা সে চলে যায় সোনাগাছিতে৷ আর সেখানেই সর্বস্ব খুইয়ে বসে৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সোনাগাছিতে গিয়ে প্রথমে মদ্যপান করে ওই যুবক৷ যে সে ভাবে নয়, একেবারে বৈঠকি আমেজে৷ মদ্যপানের সঙ্গে চলে নর্তকিদের মুজরা৷ মেজাজটাই যে আসল রাজা! সেই মেজাজ আর পকেটের নোটের ভারে কয়েকঘণ্টার জন্য নিজেকে রাজা ভেবেই যাবতীয় ফুর্তি করে নেয় মণিকান্ত৷ মুজরার পর কয়েক হাজার টাকার মালিশ৷ এলাহি খাওয়া৷ তারপর ফের মদ্যপান ও নাচ৷ একের পর এক যৌনকর্মীর সঙ্গে সঙ্গম৷ এভাবেই পকেটের কড়কড়ে নোটগুলি ওড়াতে থাকে সে৷ টাকা শেষ হতেই খাতির-যত্নরও শেষ৷

Advertisement

সব টাকা শেষ করে রাতে সোনাগাছি থেকে বেরিয়ে জ্ঞান ফেরে মণিকান্তর৷ কী জবাব দেবে মালিককে? এই ভেবেই ডাকাতির গল্প ফাঁদার সিদ্ধান্ত নেয় সে৷ মঙ্গলবার রাতে বেলেঘাটা থানায় গিয়ে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ডাকাতির মিথ্যা অভিযোগ জানায়৷ পুলিশকে সে জানায়, ছুরি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা লুঠ করে ট্যাক্সিচালকের এক ‘হেল্পার’৷ বাধা দিতে গেলে ছুরি দিয়ে তার বাঁ হাতে আঘাত করে ওই দুষ্কৃতী৷ দু’ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানোর পর ফুলবাগান মোড়ের কাছে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ট্যাক্সি থেকে ঠেলে ফেলে দেয়৷

Advertisement

মণিকান্তর এই অভিযোগে প্রথম থেকেই সন্দেহ হয় পুলিশের৷ পুলিশের ধারণা ছিল হাতের ক্ষতটি তার নিজের তৈরি৷ আর সেই ক্ষতের ফরেনসিক পরীক্ষা করাতেই ধরা পড়ে যায় সত্যটা৷  ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, হাতের কাটাটা সেল্ফ ইমপ্লিকেটেড৷ এর পরই তাকে ফের জেরা করতে শুরু করে পুলিশ৷ দফায় দফায় জেরায় অবশেষে সে সোনাগাছিতে টাকা ওড়ানোর কথা স্বীকার করে৷ মণিকান্তকে নিয়ে সোনাগাছিতে হানা দেয় পুলিশ৷ যে ঘরে সে দিনভর ছিল সেখান থেকে অধিকাংশ টাকা উদ্ধার হয়েছে৷ আর বাকি টাকা দিয়ে ঘরের কিছু আসবাবপত্র কিনে ফেলেছে সেই যৌনকর্মী৷ সমস্ত সত্যি সামনে আসার পর মণিকান্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ