Advertisement
Advertisement

মানসের লড়াই এখন দলের মধ্যেই!

বসে রয়েছেন বাইরের ঘরটিতে৷ জ্ঞানসিং সোহন পাল যেখানে বসতেন৷ সাংবাদিকদের দেখলেই বাঁ দিকের ঘরে যাওয়ার ইঙ্গিত করছেন৷ ওই ঘরে বসে আছেন ভাবী বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান৷ বোঝাই যাচ্ছে, তাঁকে এড়িয়ে চলতেই চাইছেন মানস ভুঁইয়া৷ মান্নান যখন পরিষদীয় দলের বাকি পদগুলি নিজের পছন্দের লোকেদের দেওয়ার কথা ভাবছেন, বল ঠেলে দিচ্ছেন এআইসিসির কোর্টে, তখন তা থেকে নিজেকে শত হাত দূরে রাখতে চাইছেন মানস৷ তিনি বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ করেছেন৷ অর্থাৎ, পরিষদীয় দলে তিনি যে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো নিজেকে রাখতে চাইছেন তা স্পষ্ট৷

Manas Bhunia is having a war inside his party
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 3, 2016 1:13 pm
  • Updated:June 3, 2016 2:33 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বসে রয়েছেন বাইরের ঘরটিতে৷ জ্ঞানসিং সোহন পাল যেখানে বসতেন৷ সাংবাদিকদের দেখলেই বাঁ দিকের ঘরে যাওয়ার ইঙ্গিত করছেন৷ ওই ঘরে বসে আছেন ভাবী বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান৷ বোঝাই যাচ্ছে, তাঁকে এড়িয়ে চলতেই চাইছেন মানস ভুঁইয়া৷ মান্নান যখন পরিষদীয় দলের বাকি পদগুলি নিজের পছন্দের লোকেদের দেওয়ার কথা ভাবছেন, বল ঠেলে দিচ্ছেন এআইসিসির কোর্টে, তখন তা থেকে নিজেকে শত হাত দূরে রাখতে চাইছেন মানস৷ তিনি বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ করেছেন৷ অর্থাৎ, পরিষদীয় দলে তিনি যে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো নিজেকে রাখতে চাইছেন তা স্পষ্ট৷
মান্নান কংগ্রেসের নেতা হওয়ায় সিপিএম খুশি৷ এতে চটেছেন মানস৷ তিনি এখন সিপিএমের সঙ্গে নিজের দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টায়৷ স্বভাবতই এদিন সামনের ঘরে গম্ভীর মুখেই বসে ছিলেন মানস৷ সাংবাদিক দেখলেই বাঁ দিক দেখিয়ে দিয়েছেন৷ একবারই তাঁর সঙ্গে মান্নানদের দেখা হয়৷ ওই ঘর থেকে বেরনোর পথে মানসের মুখোমুখি হতেই মান্নান তাঁর বন্ধুর দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘কী ডাক্তার?’ এর পর দেখা যায় দু’জন হাত মিলিয়ে কিছুক্ষণ ফিসফিস করে কথা বলছেন৷ এটা যে নিছক সৌজন্য তা স্পষ্ট৷
এর পর অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে মানসের ঘরোয়া আড্ডা৷ সেখানে নানা কথা৷ সবটা লেখার অনুমতি নেই৷ তবে লড়াকু সবং-পুত্রের একটি কথাতেই বোঝা গিয়েছে, এখন তাঁর লড়াই দলের মধ্যেই৷ বলেছেন, “এখন উইকেটে টিকে থাকার লড়াই৷ ধরে খেলতে হবে৷”
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে তাঁর এলাকা সবংয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন মানস৷ শান্তি বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, “রাজ্যজুড়ে ভোটের পরে যে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছে, তা দমনে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন মুখ্যমন্ত্রী৷” এদিকে অধীর-ঘনিষ্ঠ মনোজ চক্রবর্তীকে মুখ্য সচেতক করতে চাইছেন মান্নান৷ তবে এ ব্যাপারে তিনি বল ঠেলছেন দিল্লির কোর্টে৷ পাশাপাশি বিধানসভায় জোটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সিপিএমের সঙ্গে যৌথ কমিটিও গড়ার প্রস্তাব রয়েছে তাঁর তরফে৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ