সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাপড়ের আড়ালে মজুত করা হচ্ছিল বাজি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গুদামে আগুন লেগে যায়। চিৎপুরের বীরপাড়া লেনের এই ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। লুকিয়ে বাজি মজুতের কথা কেউ জানতেন না বলেই দাবি তাঁদের। কেন বেআইনিভাবে বাজি মজুত করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ চিৎপুরের বীরপাড়া লেনের চারতলা ফ্ল্যাটের নিচের গ্যারেজ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছুক্ষণের মধ্যে পোড়া গন্ধ পেতে থাকেন তাঁরা। শুনতে পারেন বিস্ফোরণের শব্দও। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফ্ল্যাটের বাসিন্দা। দৌড়ে ফ্ল্যাট থেকে নিচে নেমে আসেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ।
[আরও পড়ুন: পরিবারের চাপে গর্ভপাত, মা হতে অনীহা! বেলেঘাটায় শিশু খুন কাণ্ডে প্রকাশ্যে নয়া তথ্য]
স্থানীয়দের দাবি, গত সাত-আট মাস ধরে ফ্ল্যাটের নিচে এই গ্যারেজে নানা জিনিসপত্র মজুত করা হত। সকলেই জানতেন, ওই গ্যারেজে কাপড় মজুত করা হত। কিন্তু কাপড়ের আড়ালে যে বাজি মজুত করা হত, তা কেউই জানতেন না। সেক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকমতো না থাকার ফলেই অগ্নিকাণ্ড বলেই দাবি স্থানীয়দের। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়মাত্রই দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে যান। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কাউন্সিলরও উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।
মাসকয়েক আগে নৈহাটিতে খোঁজ মেলে বেআইনি বাজির কারবারের। বীভৎস অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান মোট পাঁচজন। বেআইনি বাজি কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেগুলি দিনকয়েক আগে নৈহাটির রামঘাটে নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে গঙ্গার এপাড় এবং ওপাড়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিকল্পনা ছাড়াই বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটেছে বলেই দাবি করেন স্থানীয়রা। ক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ফরেনসিক রিপোর্টে অবশ্য গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে যথেষ্ট। নৈহাটি কাণ্ডের পর সতর্ক পুলিশ। তাই চিৎপুরে কাপড়ের আড়ালে বাজি মজুতের ঘটনাকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।