সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝকঝকে নীল আকাশ আর উত্তুরে হাওয়াকে সঙ্গী করেই বাগদেবীর আরাধনায় মাতল বাঙালি। তবে সরস্বতী পুজো থেকে একটু একটু করে চড়ছে পারদ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সকালের দিকে ঠান্ডার আমেজ থাকবে। তবে বেলার দিকে শীত কম অনুভূত হবে।
[অরণ্যের দরজা যেখানে খোলা, প্রকৃতির মাঝে হারানোর ঠিকানা দুয়ারসিনি]
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সোমবার কাশ্মীরে হানা দেবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। যার প্রভাবে চলতি সপ্তাহে বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটলে পারদ ফের নামবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। এদিন শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। সকালের দিকে শীত মালুম হলেও দুপুরের দিকে গরম জামা গায়ে রাখা দুষ্কর হয়ে উঠছে। হবে নাই-বা কেন! কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ২৭ ডিগ্রির আশপাশে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আপাতত এমনই থাকবে। দিনে ঠান্ডার আমেজ তেমন মিলবে না। আবার সন্ধের পর থেকে রাত এবং ভোরের দিকে শীত মালুম হবে।
[অনভ্যস্ত কুচি সামলে শুভদৃষ্টির লগন, এই তো বাঙালির সরস্বতী পুজো]
শীত বস্তুটা আসলে কী, চলতি বছরে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বঙ্গবাসী। টানা ১০ দিনের বেশি সময় শহরের তাপমাত্রা ছিল ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে। জেলায় জেলায় থাবা বসিয়েছিল শৈত্যপ্রবাহ। এ বছর নভেম্বরেই চোদ্দোর ঘরে নেমে গিয়েছিল মহানগরের পারদ। ডিসেম্বরে সেভাবে ঠান্ডার নজির না গড়লেও জানুয়ারিতে টানা শীতের ওম পুইয়েছে বাংলার মানুষ। যদিও বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্ত শীতের ভাঁড়ারে কিছুটা জোগান কমিয়ে দেয়। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে জলীয় বাষ্প ঢোকায় হিমেল হাওয়ার দাপট কমেছে। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কমার পরও যদিও শীতের সেই দাপট অমিল। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, কাশ্মীরের উপর শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা না আসায় জোরদার হয়নি হিমেল বাতাস। তার উপর সূর্য ক্রমশ উত্তর গোলার্ধের দিকে যাত্রা শুরু করায় দিনের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ফলে শীতের সেই কনকনে ভাব উধাও।