Advertisement
Advertisement

প্রতীক্ষা শেষ, আগামী সপ্তাহে গঙ্গায় ঢুকবে মেট্রোর বোরিং মেশিন

গঙ্গার নিচ দিয়ে যাতায়াতের স্বপ্ন আর বেশি দূরে নয়৷

Metro boring machine likely to start working under ganges from next week
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 6, 2017 4:46 am
  • Updated:April 6, 2017 4:46 am

সুব্রত বিশ্বাস: মেট্রোর ইতিহাসে আগামী সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে৷ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ সেই সময় পুণ্যতোয়া গঙ্গার তলায় খনন শুরু করবে৷ হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হয়ে সুড়ঙ্গ এসে এখন পৌঁছেছে হাওড়া ডিআরএম বিল্ডিং-এর কাছে৷ দিন কয়েক খোঁড়াখুঁড়ি করলেই গঙ্গার ধার পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া যাবে৷ তারপরই লক্ষ্য পূরণের আশায় গঙ্গার নিচে ঢুকবে টানেল বোরিং মেশিন৷

[রাজনীতিটা যোগীদের জন্যই, ভোগীদের জন্য নয়: আদিত্যনাথ]

Advertisement

কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সতীশ কুমারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গঙ্গার তলদেশের ১৩ মিটার নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ খনন হবে৷ গঙ্গার নিচে ৫২০ মিটার দীর্ঘ খননকাজ চলবে৷ সময় লাগবে প্রায় তিন সপ্তাহ৷ চলতি বছরের এপ্রিলে হাওড়া ময়দান থেকে সুড়ঙ্গের কাজ চালু হয়েছে৷ মটির নিচে দু’টি স্টেশন তৈরির কাজ চলছে৷ একটি হাওড়া ময়দানে অন্যটি হাওড়া স্টেশনের পাশে৷ গঙ্গা পেরিয়ে আরও দু’টি স্টেশন নব মহকরণ ও এসপ্ল্যানেডে৷  সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ ও হাওড়া ময়দান থেকে শিয়ালদহ- এই দুই পর্যায়ে কাজ চলছে অত্যন্ত দুরন্ত গতিতে৷ সুড়ঙ্গের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্টেশন তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে৷ ফুলবাগান স্টেশন, সল্টলেক স্টেডিয়াম স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ৷ ২০১৮ সালের মধ্যে সল্টলেক থেকে শিয়ালদহের মধ্যে ছ’টি এলিভেটেড স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে কেএমআরসি৷ ওই বছর মার্চের মধ্যে একই ফেজের আরও দু’টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন তৈরির কাজ শেষ করা হবে৷

Advertisement

[রাজ্যে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিলেন শাহি ইমাম বরকতি]

বিশ্বমানের চালকবিহীন অ্যান্টি কলিউশান ফিচারের ট্রেন চালাতে স্ট্যান্ডার্ড গেজের তৃতীয় লাইনে ৭৫০ ভোল্টের ডাইরেক্ট কারেন্ট ব্যবহার হবে৷ আন্ডার গ্রাউন্ডে স্টেশনের কাজও শুরুর পর্যায়ে৷ দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিন ডোর গেট লাগানো হবে৷ এতে বিশেষ সুবিধার সঙ্গে আর্থিক সাশ্রয়ও হবে৷ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকায় ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কমবে৷ ৬ বগির ২০৭০ যাত্রী বহনকারী ট্রেনগুলিতে হুইল চেয়ার নিয়েই ট্রেনে চড়তে পারবেন প্রতিবন্ধীরা৷ স্টেশনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকিট সংগ্রহের পাশাপাশি ব্যবহার করা হবে স্মার্টকার্ড৷

[পাকিস্তান চাইলেও কাশ্মীর ইস্যুতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ চায় না ভারত]

১৬.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পে ২০১৫ মার্চ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৯০৮.২৭ কোটি টাকা৷ ২০১৬-১৭ তে খরচ ৯২৯.২৮ কোটি৷ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮৯৯৬ কোটি টাকা৷ সল্টলেক থেকে শিয়ালদহের মধ্যে মেট্রোর কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে৷ মাটির উপর দিয়ে যাবে ৫.৮ কিলোমিটার৷ ৩.৬ কিলোমিটার যাবে মাটির নিচ দিয়ে৷ হাওড়া ময়দান থেকে শিয়ালদহের মধ্যে কাজ শেষ হবে আগামী ২০১৯ এর আগস্টের মধ্যে৷ ৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের সবটাই যাবে মাটির নিচ দিয়ে৷ গঙ্গার নিচ দিয়ে যাতায়াতের স্বপ্ন আর বেশি দূরে নয়৷ এতকাল যা ছিল অধরা তা এখন হাতের মুঠোয় রোদ্দুরর পাওয়ার মতোই৷

[এবার ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের জন্য নিয়ন্ত্রণবিধি, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল DoT]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ