সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঁচে ফিরব ভাবতে পারিনি। আগুন লাগা অবস্থাতেই ছুটছিল মেট্রো। কোনওরকম ঘোষণা করেনি কর্তৃপক্ষ। হেল্পলাইনে ফোন করেও সাহায্য মেলেনি। মেট্রোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ যাত্রীদের। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন যাত্রীরা। এদিকে, আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রচুর মানুষ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৭ জন ভরতি আছেন এসএসকেএমে। বাকিদের ভরতি করা হয় মেডিক্যালে।
[মেট্রোয় আগুন আতঙ্ক, ধোঁয়ায় অসুস্থ বহু যাত্রী]
মেট্রোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। যাত্রীরা একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ বলছেন, ময়দান স্টেশনে পৌঁছানোর বেশ খানিকটা আগেই লেগেছিল আগুন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই ছুটছিল মেট্রো। আগুন লাগার ফলে ধোঁয়ায় ভরে যায় মেট্রো। এদিকে কামরার মধ্যে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল যাত্রীদের। ধোঁয়া আর আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু মানুষ। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাদের উদ্ধারেও গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, স্টেশন থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরেই থামিয়ে দেওয়া হয় মেট্রোটি। যার ফলে যাত্রীদের উদ্ধারে সমস্যা তৈরি হয়। কাঁচ ভেঙে বের করে আনতে হয় যাত্রীদের। লাইন দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসা হয় তাদের। অনেক যাত্রীই বলছেন, কামরা থেকে বেরিয়ে স্টেশনে আসতে আধ ঘণ্টা সময় লেগে গিয়েছে। আবার, কেউ বলছেন, এক ঘণ্টা লেগে গিয়েছে সুরক্ষিত অবস্থায় ফিরতে। অনেকে বলছেন, কোনওরকম ঘোষণা নেই, কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত তৎপরতা দেখায়নি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখিয়েছেন।
[ভেস্তে গেল বৈঠক, অব্যাহত অ্যাপ ক্যাব চালকদের আন্দোলন]
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে সিপিআরও ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছে, পুরো ঘটনায় খতিয়ে দেখা হবে। ঘোষণা হয়েছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা ও দমকল দপ্তর। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। এদিকে, সেন্ট্রাল থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে, আপ লাইনে টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো চলছে।