কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: করোনা শুরুর সময়কাল থেকে জুন মাস পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৫০-এর মতো। জুলাই মাসের শেষে সংখ্যাটা এক ধাক্কায় লাফিয়ে ১৯৫০-এর কাছাকাছি এসে দাঁড়াল। অর্থাৎ শুধুমাত্র জুলাইতে বিধাননগর এলাকায় ১৪০০’র মতো মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর আসছে। এখনও পর্যন্ত এই সংক্রামক রোগ কারণে মৃত ৪১। শনিবার জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বাগুইআটি থানা এলাকায় ৪৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বিধাননগরের পরিস্থিতি মোটেই স্বস্তি দিচ্ছে না স্বাস্থ্যকর্তাদের।
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার নিরিখে বিধাননগর করোনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে বিধাননগর প্রশাসন। নিখরচায় করোনা পরীক্ষা করছে পুরনিগম। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন নাগরিকরা। এক পুরকর্তার যুক্তি, টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে সংক্রমণের খবর বেশি আসছে। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সদর্থক পদক্ষেপ বলে মনে করছে পুরপ্রশাসন। বিধাননগরের একাধিক অঞ্চল করোনাপ্রবণ বলে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের প্রথম করোনায় আক্রান্তের ওয়ার্ডেই ৩৬৪ জন সংক্রমিত! উদ্বিগ্ন খোদ স্বরাষ্ট্রসচিব]
সল্টলেকের দত্তাবাদ, সেক্টর তিন এবং দুই অঞ্চলে করোনা ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। পুরনিগমের রাজারহাট-গোপালপুর অংশের তেঘরিয়াতে প্রথম অবস্থাতেই ব্যাপক হারে ছড়িয়ে ছিল এই সংক্রামক রোগ। তারপর তা ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। এই মুহূর্তে নারায়ণপুর, বাগুইআটি থানা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং চিনার পার্ক এর বেশ কিছু অঞ্চলে করোনা ভাল রকমভাবে ছড়িয়েছে বলে খবর মিলছে।