সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: হল না শেষরক্ষা। কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু গুলিবিদ্ধ মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের তৃণমূল যুব নেতা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ হওয়ার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচগ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল নেতা রুবেল শেখ। তাঁর দুই সহকর্মীকে নিয়ে বিলবসিয়া চুপড় এলাকায় আড্ডা মারছিলেন। সেই সময় একটি বাইকে দুই দুষ্কৃতী এসে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। তার কিছুক্ষণ পরেই গুলি চালায়। তৃণমূলের যুব নেতা রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমুল যুব কর্মী উজ্জ্বল শেখ ও সাহেব শেখ কিছু বোঝার আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ার পথের কাঁটা! মায়ের প্রেমিকের হাতে ‘খুন’ স্কুলছাত্রী]
তৃণমূল যুব নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উজ্জ্বল শেখ বলেন, ‘‘দলের কাজ শেষ করে আমরা মাঝে মধ্যে বিলবসিয়া এলাকায় আড্ডা দিয়ে যে যার বাড়ি চলে যাই। বাড়ি রওনা হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে একটি বাইক আমাদের ক্রস করে দাঁড়ায়, তারপরেই গুলির মতো আওয়াজ পাওয়া যায়। দেখি রুবেলের কোমর দিয়ে রক্ত ঝরছে। তবে চিকিৎসকরা তার দেহে গুলি খুঁজে পাননি।’’ নবগ্রাম ব্লক তৃণমুল সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘‘দলের অত্যন্ত ভাল সংগঠক হিসেবে আমার স্নেহভাজন রুবেল। তাছাড়া এলাকার মানুষের সঙ্গে ওর ঘনিষ্ঠতা কারও অজানা নয়। তারপরেও এমন ঘটনা আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।’’ রুবেলের বাবা গোলাম রসুল বলেন, ‘‘আমার ছেলের সঙ্গে অন্যদলের রাজনৈতিক কোনওরকম ঝামেলা নেই। তারপরেও কেন এমন ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।’’
জখম তৃণমূল যুব নেতাকে প্রথমে নবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে বিশেষ লাভ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুই হয় তৃণমূল যুব নেতার। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তৃণমূল নেতার প্রাণহানি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।