গৌতম ব্রহ্ম: কল্যাণীর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। জেলা পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কী করে বিস্ফোরণ ঘটল এবং কতজনের প্রাণহানি হয়েছে, সে সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে জেলা পুলিশকে। কেউ এই বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন কিনা, তা-ও জানাতে হবে।
সাম্প্রতিক অতীতে বারবার রাজ্যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণহানি হয়েছে। তথ্য বলছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ২ জনের মৃত্যু হয়। সে বছর ডিসেম্বরে নোদাখালি এবং ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ হয়। দুটি ঘটনাতে ৩ জন করে মোট ছজনের মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালে দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৯ জন। তাঁদের মধ্যে বাড়ির মালিক এবং বাজি কারখানার মালিকের ছেলেও ছিলেন। সে বছরই এগরা এবং খাদিকুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এগরায় প্রাণ যায় ৯ জনের এবং খাদিকুলে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১২ জনের। গত বছর উলুবেড়িয়ায় বাজি ফাটাতে গিয়ে বিস্ফোরণে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়। আর শুক্রবার আবার একের পর এক ঘটনায় জোর শোরগোল পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। তা সত্ত্বে কেন রোখা যাচ্ছে না অঘটন, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলার বাজি কারখানাটি দীর্ঘদিনের। অনেকের দাবি কমপক্ষে ১০ বছরের। খোকন বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতেই চলত বাজি কারখানা। স্থানীয় কাউন্সিলর সুব্রত চক্রবর্তীও মেনে নিয়েছেন সে কথা। তবে ওই বাজি কারখানা বৈধ নাকি বেআইনি তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিস্ফোরণের পর থেকে বেপাত্তা খোকন। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.