Advertisement
Advertisement

তলপেটের অঙ্গ উঠে এসেছে বুকে! বিরল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল যুবকের

রোগটির নাম ডায়াফ্রামাটিক হার্নিয়া।

Nadia: youth diagnosed with a rare disease, operated in Govt hospital
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 27, 2018 9:16 am
  • Updated:May 27, 2018 4:38 pm

অভিরূপ দাস: বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। দিব্যি সুস্থ-সবল একটা মানুষ। কিন্তু, সেই লোকের তিন মিনিটের কাজ করতে ত্রিশ মিনিট সময় লাগছে! অল্প হাঁটলেই এমন বুক ধড়ফড়ানি শুরু হচ্ছে, যেন মনে হয় এক্ষুনি প্রাণটাই বেরিয়ে যাবে! এমনই অবস্থা হয়েছিল নদিয়ার দীপঙ্কর দাসের।

[ঋতুস্রাব নিয়ে যৌনকর্মীদের সচেতন করার অভিনব উদ্যোগ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার]

Advertisement

ডাক্তার বললেন বুকের সিটি স্ক্যান করাতে। রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ! দেখা গেল একত্রিশ বছরের যুবকটির তলপেটের অঙ্গ উঠে এসেছে বুকে! ডাক্তারি পরিভাষায় ডায়াফ্রামাটিক হার্নিয়া। রোগটিকে বিরলই বলা চলে। কল্যাণীর গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর রোগী এখন স্থিতিশীল। সরকারি হাসপাতালে এমন জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্যকে কুর্নিশ জানাচ্ছে রাজ্যের চিকিৎসকমহল। তবে অসুখের কথার জানার পর প্রথমে দস্তুরমতো ঘাবড়েই গিয়েছিলেন দীপঙ্কর দাস। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি জানালেন,  ‘প্রথমটায় শুনে খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আগে কখনও এমন অসুখের নাম শুনিনি।চিকিৎসকরাই আমাকে আশ্বস্ত করেন।‘  এত জটিল একটি অসুখ শরীরে বাসা বেঁধেছে। আগে টের পাননি? রোগীর পরিবারের সদস্যদের জবাব,  ‘আগে কোনওদিন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু এ’বছরের শুরুতেই অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কাজ করতে পারছিল না। এদিকে মাঠে কাজ না করলে উপার্জনও বন্ধ।‘

Advertisement

প্রথমে স্থানীয় বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দীপঙ্কর দাস। কিন্তু, রোগ ধরা পড়েনি। ফুসফুসে সংক্রমণের ওষুধ খেয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়ার হাসপাতালে যান দীপঙ্করবাবু। হাসপাতালের কার্ডি থোরাসিক সার্জেন জওহরলাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘রোগীকে দেখে কিছুটি বোঝার উপায় ছিল না। সিটি স্ক্যান করতেই ধরা পড়ল শ্বাসকষ্টের কারণ।‘

[পাড়ার মহিলাদের অশ্লীল ছবি তোলাই শখ, জানাজানি হতেই পলাতক যুবক]

আজব তো বটেই, ডায়াফ্রামাটিক হার্নিয়া রোগটি অত্যন্ত বিরল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডায়াফ্রাম হল একটি পেশি। এই পেশি তলপেট আর বুকের কিছু অংশকে আলাদা করে। কিন্তু, কোনও কারণে ডায়াফ্রাম পেশিতে যদি গর্ত হয়ে যায়, তাহলে সেই গর্ত দিয়েই এই অঙ্গটি উঠে আসে বুকে। রোগটি জন্মগত। সাধারণত মাতৃগর্ভেই ডায়াফ্রামাটিক হার্নিয়ার আক্রান্ত হন রোগীরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, প্রথম সন্তান এই রোগে আক্রান্ত হলেও, দ্বিতীয় সন্তানের সমস্যা নেই। বস্তুত, দ্বিতীয় সন্তানের ডায়াফ্রামাটিক হার্নিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ২ শতাংশ।

[ফ্রায়েড রাইসে মরা আরশোলা! রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ