ছবি: অরিজিৎ সাহা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ হারিয়েছেন গয়নাগাটি। কারও পুড়ে ছাই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড। ঘরে থাকা খাবারদাবার, পোশাক-আশাকও পুড়ে ছাই। কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয়েছে নারকেলডাঙা।
ছাইয়ের গাদায় শেষ সম্বলের খোঁজ করছেন নিঃস্বরা। কোথায় থাকবেন, কী খাবেন – সেই ভাবনায় হাহাকার ক্ষতিগ্রস্তদের।
শীতের নিশুতি রাত। ঘড়ির কাঁটায় দশটা হবে। কেউ খাওয়াদাওয়া করছিলেন। কেউবা সবেমাত্র ঘুমোতে গিয়েছেন। আবার কেউ পরিজন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। আচমকাই ঝুপড়ি লাগোয়া একটি গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান স্থানীয়রা।
হইচই পড়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের ঝুপড়িকে গ্রাস করে। দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু আগুন নেভানোর আগেই সব শেষ।
গোটা রাত আকাশের নিচেই কাটে ক্ষতিগ্রস্তদের। বাড়িতে থাকা প্রয়োজনীয় সামগ্রী আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচাতে পারেননি তাঁরা।
চোখের জল মুছতে মুছতে শুধু পুড়ে যেতে দেখেন সব কিছু।
রবিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আলো ফুটতেই ছাইয়ের মাঝে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ছাইয়ের স্তূপ সরিয়ে কিছু কিছু জিনিস পেয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
কিন্তু তা যে অতি সামান্য। প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় যেন নিঃস্ব তাঁরা।
চোখের জল বাঁধ মানছে না কারও। সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
রবিবার দুপুরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে যান। সরকারি সাহায্যের বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাননি তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.