প্রতীকি ছবি
কলহার মুখোপাধ্যায়: নিউটাউনের হোটেলে তরুণীর নগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি নোটও। মৃতার পরিবারের দাবি, চাকরির প্রলোভন দেখিয়েই পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) ওই তরুণীকে কলকাতা এনেছিল অভিযুক্ত।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। ওইদিন দুপুরে নিউটাউনের একটি হোটেলের একটি রুম ভাড়া করে অমিত ঘোষ ও চুমকি ঘোষ। সন্ধে ৭ টায় তাঁদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার দীর্ঘক্ষণ পরও তাঁরা ঘর না ছাড়ায় সন্দেহ হয় হোটেল কর্মীদের। তাঁরা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ঘর খুলতেই মেলে চুমকির নগ্ন রক্তাক্ত দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালাতেই মেলে একটি নোট। তদন্তকারীদের দাবি তাতে লেখা ছিল, “তোকে মারতে চাইনি, কিন্তু বাধ্য হয়ে মারতে হল”। এরপরই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন বিকেল ৪ টে নাগাদ ঘটনাস্থল ছাড়ে অভিযুক্ত অমিত।
এরপরই মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুরের বাসিন্দা চুমকি বিবাহিতা। তাঁর স্বামী চন্দন পেশায় গাড়িচালক। অমিত ওই জেলারই গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা। মৃতার পরিবারের দাবি, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চুমকিকে কলকাতা (Kolkata) আনে অমিত। সেখানেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। কিন্তু কেন? তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু প্রতিশোধস্পৃহা থেকে এই খুন হতে পারে বলে অনুমান। কারণ, যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা মুহূর্তের সিদ্ধান্ত নয়, বরং রীতিমতো ছক অনুযায়ী বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে চার্জারের তার জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় চুমকিকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে সারা শরীরে এলোপাথারি কোপান হয়। ঘটনার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা কারণের হদিশ পেতে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.