Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার লক্ষ্য ত্রিপুরা, স্লোগানে বোঝাচ্ছেন মমতা

বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ত্রিপুরা-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের সংগঠনকে বাড়নোর কাজ শুরু করে তৃণমূল৷ তখনই একপ্রকার জানিয়ে দেওয়া হয় রমজান শেষ হলে ত্রিপুরায় সিপিএমকে উৎখাতের ডাক দিতে লড়াইয়ের ডাক দেবেন মমতা৷

Next target is Tripura, CM's slogan shows it well
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 15, 2016 10:34 am
  • Updated:June 24, 2022 3:56 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার পর এবার ত্রিপুরা থেকে সিপিএমকে হঠানোর ডাক দিতে আগরতলা যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ৯ আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী৷ বরাবর মমতা এই দিনটিতেই শহিদ দিবস হিসাবে পালন করেন৷ এবার ‘সিপিএম ত্রিপুরা ছাড়ো’ ডাক দিয়ে ওইদিন আগরতলায় শহিদ দিবস পালন করবেন তৃণমূলনেত্রী৷ সেই উপলক্ষে এক বিরাট জনসভারও আয়োজন করা হয়েছে৷ সূত্রে খবর, ওই দিন ওই জনসভাতেই তৃণমূলে যোগ দেবেন সে রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন রায় বর্মণ৷ সিপিএম ভেঙেও একাধিক নেতা যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে বলে খবর৷

ত্রিপুরায় কংগ্রেস ইতিমধ্যে ভেঙেছে৷ সুদীপ রায় বর্মণ-সহ কংগ্রেসের গোটা পরিষদীয় দল তৃণমূলে চলে আসায় বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে তৃণমূল৷ দলনেত্রীর কাছেও ত্রিপুরার চিত্রটা অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে৷ সেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তফসিলি জাতি-উপজাতির মানুষের মধ্যেও সিপিএমের বিরু‌দ্ধে অবহেলা-বঞ্চনার অভিযোগ উঠে এসেছে বারবার৷ সিপিএম-বিরোধী হিসাবে ক্রমশ উজ্জ্বল হয়েছে মমতার ছবি৷ ফলে পটভূমি তৈরি হওয়ার পর বাংলার পর ত্রিপুরায় সিপিএমকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ডাক দিতে চলেছেন মমতা৷

Advertisement

বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ত্রিপুরা-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের সংগঠনকে বাড়নোর কাজ শুরু করে তৃণমূল৷ তখনই একপ্রকার জানিয়ে দেওয়া হয় রমজান শেষ হলে ত্রিপুরায় সিপিএমকে উৎখাতের ডাক দিতে লড়াইয়ের ডাক দেবেন মমতা৷ সেই অনুযায়ীই ঠিক হয় ৯ আগস্ট তৃণমূলের শহিদ দিবসের তারিখটি৷ সে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের সুদীপ রায় বর্মণের কথায়, “সিপিএমের বিরু‌দ্ধে মমতার লড়াই-আন্দোলন মানুষের আদর্শ৷ তাঁরই ধাঁচে ত্রিপুরাতেও সিপিএমকে হঠানোর ডাক দিতে লড়াই দরকার ছিল৷ সেই সূত্রে মমতাকেই ত্রিপুরাবাসী নেত্রী হিসাবে চাইছিলেন৷ এবার ত্রিপুরায় তাঁর নেতৃত্বে শুরু হবে লড়াই৷” ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন৷ সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সে রাজ্যে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু হয়েছে৷ দলের মুখ হিসাবে একজনকে অবিলম্বে সেখানে প্রোজেক্টও করা হবে৷ এই পরিস্থিতিতে মমতা এভাবে ত্রিপুরা নিয়ে নাড়াচড়া করায় সিপিএম উদ্বিগ্ন৷ পশ্চিমবঙ্গে মমতার বিরোধিতা করে দলের কী হাল হয়েছে, তা সর্বজনবিদিত৷ বিরোধী দলের মর্যাদা তো গিয়েইছে৷ দলের তাত্ত্বিক নেতাদের মুখ পুড়েছে কর্মীদের কাছেই৷ দুর্বিষহ হাল হয়েছে পার্টির৷

Advertisement

এই অবস্থায় আবার মমতা যদি ত্রিপুরা নিয়ে পড়েন, তা হলে চরম বিপাকে পড়বে পলিটব্যুরো৷ কেন্দ্রীয় কমিটিতেও যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ মূলত সেখানে আলোচনায় উঠে এসেছে মমতার গরিব-দরদী লড়াইয়ের কথা৷ সাধারণ মানুষের স্বার্থে, তাদের বিপদে যেভাবে মমতা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, কেন্দ্রীয় কমিটিকে নতুন করে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূলনেত্রীর সেই ইতিহাসও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ