Advertisement
Advertisement
বিধাননগর

সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থার তোড়জোড়, পাশে বসেও ক্ষোভ চেপে রাখলেন না কৃষ্ণা

সূত্রের খবর, দু-একদিনের মধ্যে বিধাননগরের মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে৷

No confidence mortion against Bidhhannagar mayor Sabyasachi Dutta
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 8, 2019 8:09 pm
  • Updated:July 8, 2019 8:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের মধ্যে কিছুটা বিপাকে পড়লেও, দিনভর প্রচারের আলো টেনে রেখেছিলেন নিজের দিকে৷ সোমবার বিকেল নাগাদ বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ঘরে সাংবাদিকদের নিয়ে ঢুকেই পড়লেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ দু’জনে পাশাপাশি বসে সাংবাদিক সম্মেলনও করলেন৷ আর সন্ধে গড়াতে জানা গেল, মেয়রের বিরুদ্ধে দ্রুতই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন কাউন্সিলররা৷ দু-একদিনের মধ্যেই আইননুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

[আরও পড়ুন: ‘মীরজাফরের মতো কাজ করছে’, সব্যসাচীকে ইস্তফা দিতে চাপ ফিরহাদ হাকিমের]

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তকে নিয়েই ভোটের আগে থেকে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল তৃণমূলের অন্দরে৷ তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে সদ্ভাব, নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ করে লুচি-আলুর দম খাওয়ানোর জন্য কম ধাক্কা পোহাতে হয়নি সব্যসাচীকে৷ ভোটের আগে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সব্যসাচীকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বোঝাতে হয়েছিল, দলের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবেই থাকছেন বিধাননগরের মেয়র৷

Advertisement

ভোট শেষ হতে ফের তাঁর দলত্যাগের জল্পনা উসকে উঠেছে৷ খুব কম সময়ের মধ্যে নানা ওঠাপড়ায় দলের আরও বিরাগভাজন হয়েছেন সব্যসাচী দত্ত৷ তবে একইসঙ্গে তাঁর একদল অনুগামীকেও দেখা গিয়েছে, মেয়রের পাশে থাকতে৷ সোমবার সকালে বিধাননগর পুরসভার বৈঠকের পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিতে৷ মনে করা হচ্ছিল যে, এবার বোধহয় সব্যসাচী-বিয়োগ ঘটেই যাচ্ছে তৃণমূলে৷ কিন্তু অকুতোভয় সব্যসাচী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি মেয়র পদ থেকে সরবেন না৷ সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হতে পারে৷ যদিও তাতে আইনি বাধা আছে৷ পুর আইন অনুযায়ী, মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে পদচ্যুত না করে প্রশাসনিক ক্ষমতা খর্ব করা যায় না৷ আবার অনাস্থা এনে তৃণমূল হেরে গেলেও তা দলের পক্ষে ব্যুমেরাং হবে, সেকথাও ভাবতে হচ্ছে শাসকদলকে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: এক দোকানে চাল-ডাল থেকে পোশাক, সোনাগাছিতে যৌনকর্মীদের জন্য ডিপার্টমেন্টাল স্টোর্স]

এসবের মাঝেই সব্যসাচী দত্ত বিকেলে আবার আরেকটি ভূমিকা পালন করলেন৷ চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ঘরে বৈঠক চলাকালীন সব্যসাচী আচমকাই ঢুকে পড়েন তাঁর ঘরে৷ আচমকা সব্যসাচীর আগমনে হকচকিয়ে যান চেয়ারপার্সনও৷ তারপর অবশ্য সবটা সুকৌশলে সামলে নেন৷ তবে তাঁর কথায় ক্ষোভও চাপা রইল না৷ সব্যসাচীর ভূমিকা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে, কৃষ্ণা চক্রবর্তী স্পষ্টই বললেন, ‘এসব বলার অধিকারী আমি নই৷ দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটাই পালন করব৷ আমারও ইচ্ছে ছিল মেয়র হওয়ার৷ দল মনে করেনি, তাই আমাকে করেনি৷ সব্যসাচী এখনও মেয়র৷ ও আমার ঘরে এলে কি বলব, সব্যসাচী, তুমি বেরিয়ে যাও?’ এসব কথা বলার সময়ে অবশ্য সব্যসাচী দত্ত তাঁর পাশে হালকা হাসিমুখ করেই বসেছিলেন৷ বিশেষ কথা বলেননি৷ তবে বিধাননগর পুরসভার এই সংকটের পরিস্থিতিতেও মেয়র এবং চেয়ারপার্সনকে পাশাপাশি থাকতে দেখে অনেকের মনেই সংশয় জেগেছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ