BREAKING NEWS

৯ চৈত্র  ১৪২৯  শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

কাটমানি নেওয়া নেতাদের দলে নো-এন্ট্রি, রণকৌশল বৈঠকে হুঁশিয়ারি কৈলাসের

Published by: Subhamay Mandal |    Posted: July 7, 2019 8:29 pm|    Updated: July 8, 2019 2:23 pm

No Entry for Cut money leaders, warns BJP Leader Kailash Vijayvargiya

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: যারা কাটমানি নিয়েছেন শাসকদলের সেই সমস্ত নেতাদের দলে ‘নো-এন্ট্রি’। দলের বিধায়ক-সাংসদদের বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রবিবার কলকাতার আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে সদস্য অভিযান নিয়ে দলের বিশেষ বৈঠকে তিনি বলেন, “কাটমানি যারা নিয়েছেন তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। যাঁরা কাটমানি নিয়েছেন তাঁদের এন্ট্রি-কাট।” একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর রাজ্যে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নেমেছে। বহু কাউন্সিলর, বেশ কয়েকজন বিধায়ক শাসকদল থেকে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। দলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরাই বিজেপিতে যাচ্ছে। তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। আরএসএসের মুখপত্র স্বস্তিকাতেও লেখা হয়েছিল বিজেপিতে এভাবে বেনোজল ঢোকা নিয়ে। মনে করা হচ্ছে, এসবের পরই সতর্ক বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই কাটমানি নিয়েছেন কিংবা অসামাজিক কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে, এরকম কাউকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ এদিনের বৈঠকে দিয়েছেন কৈলাস, দিলীপ, রাহুল সিনহারা। দলকে বাড়াতে হলে যোগদান চলবে। দলের সদস্য বাড়াতে হবে। কিন্তু বেনোজল আটকাতে ছাঁকনিরও প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ছাঁকনিও থাকবে, আবার দলও বড় করতে হবে। আর বেনোজল আটকাতে এই ছাঁকনি ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা দেখার দায়িত্ব রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘শাসকের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে কর্মীরা’, আবেগে কেঁদে ফেললেন দিলীপ ঘোষ]

অন্য রাজনৈতিক দল বিশেষ করে তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলর, বিধায়ক ও সাংসদরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলে নতুন আর পুরনোদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেক সময়ই সামনে চলে আসছে। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই বিষয়েও এদিন কঠোর বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সহ সংগঠন) শিবপ্রকাশের পরামর্শ, দলে নতুন-পুরনো ভেদাভেদ করা যাবে না। কে পুরনো, কেন নতুন তকমা দেওয়া যাবে না। বিজেপি একটা পরিবার। কে দলের সদস্য হয়ে গেলে সে বিজেপি পরিবারে চলে এল। একইসঙ্গে অন্য দল থেকে আসা নব্যদেরকে এই কেন্দ্রীয় নেতার পরামর্শ, বিজেপি কেন করছেন, দলের মতাদর্শ এসব জানতে হবে। রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূলের অনুকরণ করা যাবে না। কৈলাসেরও পরামর্শ, বিনয়ী হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। নম্র হতে হবে।

[আরও পড়ুন: রণকৌশল বৈঠকে সব্যসাচীর ভূয়সী প্রশংসা, বিজেপি যোগের জল্পনা বাড়ালেন মুকুল]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে