শুভঙ্কর বসু: সোমবার রাতে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সকালেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কারণ দর্শানো হয় আইনি জটিলতা। যদিও এই সংক্রান্ত এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্ট কমিশনের এই নয়া বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল।
[ ভোট হিংসার নয়া নজির, একে অপরের দিকে অ্যাসিড ছুড়ল তৃণমূল-বিজেপি ]
এই নির্দেশের ফলে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্ব নতুন মোড় নিল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, শাসকদলের দাপটে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাচ্ছে না। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি ছিল, মোতায়েন করা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অনলাইনে মনোনয়ন। শীর্ষ আদআলত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। যদিও প্রতি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, সে ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক করেছিল। এরপরই গতকাল সন্ধেয় মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সকালেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। জানানো হয়, আইনি জটিলতার কারণে এই নয়া বিজ্ঞপ্তি। এদিকে এদিন আদালতে বিচার্য বিষয় ছিল তিনটি। মনোনয়ন জমা দিতে না পারা এবং পেশের সময় পুলিশি নিরাপত্তার যে দাবি ছিল তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি আদালত। জানিয়েছে, এক্ষেত্রে সু্প্রিম নির্দেশই শিরোধার্য। কিন্তু কমিশনের মনোনয়নের দিন বাড়ানোর নির্দেশ প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।
[ অনুব্রতর পথেই কার্যসিদ্ধি, আসানসোলে বিরোধীদের ‘লস্যি-সরবতে’র দাওয়াই তৃণমূলের ]
এদিকে আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় পেরিয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও এখন আর উপায় নেই। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাড়বে? এই অধিকার কমিশনের উপরই ছেড়ে দিয়েছে আদালত। আদালতের মন্তব্য, এক্ষেত্রে কোনও আইনি জটিলতা নেই। তবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে এক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। ফলে বল আপাতত কমিশনের কোর্টে। আইনি জটিলতা দেখিয়ে যে সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছিল, এর জেরে তা ধাক্কা খেল।