Advertisement
Advertisement

Breaking News

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিষেকের স্ত্রীকে আটক করা হয়নি, সোনাকাণ্ডে আরটিআইয়ের জবাব দিল কাস্টমস

এমন কোনও ঘটনা বিমানবন্দরে ঘটেনি বলে জানিয়েছে শুল্কদপ্তর।

Notional incident attributed to Mrs Abhisek Banerjee is an outright lie
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:May 8, 2019 9:29 am
  • Updated:September 10, 2020 11:36 am

শুভময় মণ্ডল: বিমানবন্দরে কাণ্ডে ফের স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনৈক আইনজীবীর আরটিআইয়ের জবাবে চিঠি দিয়ে শুল্কদপ্তর জানিয়ে দিল, কলকাতা বিমানবন্দরে বেআইনি সোনা-সহ কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করেননি শুল্কবিভাগের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে এটাও জানানো হয়েছে, যে এমন কোনও ঘটনা বিমানবন্দরে ঘটেনি। গত ২ মে আরটিআইয়ের জবাবে চিঠি দিয়ে জানায় কাস্টমস দপ্তর।

প্রসঙ্গত গত মার্চ মাসে ব্যাংকক থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরে সোনা-সহ যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী আটক হয়েছিলেন বলে চাউর হয়৷ ভোটের বাজারে সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছিল৷ এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্ত্রী’র পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল৷ ঘটনার ব্যাখ্যা শোনা যায় তাঁর মুখে৷ আপাতভাবে বিষয়টি নিয়ে চর্চা থামলেও, চোরাস্রোত আছে এখনও৷ সেই পরিস্থিতিতেই অভিষেক-জায়াকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ৷ নির্বাচন কমিশনারের কাছে পেশ করা রিপোর্টে তারা উল্লেখ করে, বিমানবন্দরে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কোনও সোনা বাজেয়াপ্ত হয়নি৷ বাজেয়াপ্তর তালিকায় কোনও সোনা ছিল না৷ এর সঙ্গে যুক্ত সব বিভাগ থেকে তথ্য, প্রমাণ নিয়ে পুলিশ রিপোর্ট পেশ করেছে বলে খবর৷ জেলা পুলিশের দেওয়া এই রিপোর্ট পাঠানো হয় দিল্লি নির্বাচন কমিশনে৷ তবুও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা চলছিল। বিরোধীরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিল। সেদিন বিমানবন্দরে কী হয়েছিল তা উদ্ঘাটন করতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান বাম পরিষদীয় নেতা সূজন চক্রবর্তী। পালটা মানহানির মামলার হুমকি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘রুজিরা অন্তঃসত্ত্বা, ডিপ্রেশনে ভুগছে’, অভিষেকের স্ত্রী নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মমতা]

Advertisement

এরপরই জনৈক আইনজীবী প্রসূন মৈত্র তথ্য জানার আইনে ঘটনার বিবরণ জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের কাস্টমস শাখার কাছে চিঠি দেন। ১৬ এপ্রিল আরটিআইয়ের আবেদন করেন তিনি। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ কাস্টমস (ওয়েস্ট বেঙ্গল) এল টি শেরপা চিঠির উত্তরে জানান, সেদিন বিমানবন্দরে বেআইনি সোনা বা মুদ্রা-সহ কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। এমন কোনও ঘটনাও রেকর্ড হয়নি শুল্কদপ্তরের কাছে। তথ্যে সন্তুষ্ট নাহলে আবেদনকারী আদালতে মামলা করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেছে শুল্কদপ্তর। প্রসঙ্গত, এর আগে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের পর থেকেই বিমানবন্দরে তাঁর স্ত্রীর সোনা-সহ ধরা পড়ার ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও প্রকট হয়। অভিষেকের অভিযোগ ছিল, ভোটের আগে দিল্লির চাপে তাঁর স্ত্রী’কে হেনস্তা করেছেন শুল্কদপ্তরের আধিকারিকরা। বিজেপি এবং সিপিএম নেতারা তাঁর স্ত্রী রুজিরার বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সাংসদ। তারপরই একযোগে সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস অভিষেককে ঘিরে তৃণমূলকেই আক্রমণের নিশানা করেছেন৷ বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হয়েছিল৷ শুল্ক দপ্তরের এলাকায় পুলিশ কেন গিয়েছিল? অভিষেকের স্ত্রী’কে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের করে দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হল? কাস্টমসের আধিকারিকরা ব্যাগ তল্লাশি করতে চাইলে, তাদের বাধা দেওয়া হল কেন? কেন পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়নি সুটকেস? পুলিশ কেন শুল্ক দপ্তরের কাজে বাধা দিল?

[আরও পড়ুন: তথ্যগোপনের অভিযোগে অভিষেকের স্ত্রীকে শোকজ নোটিস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ