Advertisement
Advertisement

কর্পোরেট ধাঁচে মোবাইলেই মিলবে প্যাথলজি রিপোর্ট, কীভাবে জানেন?

চালু হল ‘এসএমএস অ্যালার্ট’ সিস্টেম৷

Now pathological reports on moboile

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 22, 2018 3:18 pm
  • Updated:December 22, 2018 3:29 pm

গৌতম ব্রহ্ম: কর্পোরেট হাসপাতালের ধাঁচে এবার রোগীর মোবাইলে প্যাথলজি রিপোর্ট পৌঁছে দেবে সরকারি হাসপাতাল। রোগীদের জন্য এমনই অভিনব ‘এসএমএস অ্যালার্ট’ পরিষেবা চালু করল পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই নব্য পরিষেবার ‘ট্রায়াল’ রান৷ ওইদিন একশো রোগীর মোবাইলে পৌঁছে গিয়েছে এই অ্যালার্ট৷ হাসপাতালের সুপার ডা. সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, পরবর্তীকালে রিপোর্টের ক্ষুদ্র সংস্করণও পাঠানো হবে মোবাইলে। চার-পাঁচদিনের মধ্যেই পুরোদস্তুর চালু হয়ে যাবে এই পরিষেবা।

[অনশন প্রত্যাহারের আরজি নিয়ে মাও নেতা অর্ণবের কাছে কারামন্ত্রী]

Advertisement

রোগীর চাপ কমাতে ইতিমধ্যেই মেডিসিন বিভাগের রোগীদের রক্ত ও অন্যান্য নমুনা হাসপাতালের উলটোদিকে থাকা কলেজ বিল্ডিংয়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওই ‘স্যাম্পল কালেকশন রুম’-এর পাশেই ‘রিপোর্ট ডেলিভারি রুম’ চালু করা হয়েছে। ফলে, এখন হাসপাতালের রামমোহন বিল্ডিংয়ে থাকা সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির চাপ অনেকটাই কমেছে। এমনটাই জানালেন সন্দীপবাবু। তিনি আরও বলেন, “পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতে কর্পোরেট হাসপাতালের ধাঁচে আগেই ‘বার কোড’ চালু করা হচ্ছে। এবার ‘এসএমএস অ্যালার্ট’ চালু করা হবে।” আউটডোরে টিকিট করার সময় তিনটি বার কোডের স্টিকার তৈরি করা হচ্ছে। একটি ওপিডি টিকিটে, অন্যটি রক্তের নমুনা নেওয়া টিউবে সাঁটা হচ্ছে। তৃতীয়টি লাগানো হচ্ছে রিপোর্ট সংগ্রহ করার স্লিপে। ফলে, একজনের রিপোর্ট আরেকজনের কাছে চলে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হবে। নমুনা হারিয়ে গেলেও তা ধরা পড়ে যাবে। এমনটাই জানালেন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির ইনচার্জ ডা. শান্তনু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আশা, এসএমএস অ্যালার্ট দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে সাহায্য করবে ডাক্তারবাবুদের। পরবর্তীতে কমানো যাবে কাগজের অপচয়।

Advertisement

[বড়দিন ও নববর্ষে ইভটিজারদের মোকাবিলায় শহরে ‘উইনার্স’]

হাসপাতালের উদ্যোগে খুশি ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর জাতীয় সভাপতি তথা ন্যাশনালের ‘রোগী কল্যাণ সমিতি’-র চেয়ারম্যান সাংসদ ডা. শান্তনু সেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “হাসপাতালে এক শ্রেণির দালাল রোগীর পরিবারকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে। বলে, ‘হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে ‘ফ্রি’ পরীক্ষা করাবেন না। ওরা নমুনা হারিয়ে ফেলে। দেরিতে রিপোর্ট দেয়।” রোগীর পরিবারের একাংশ ভয় পেয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষাও করায়। এসএমএস অ্যালার্ট এই সংস্কৃতি বন্ধ করবে।” প্যাথলজি রিপোর্ট তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার এসএমএসের মাধ্যমে মোবাইলে তা রোগী বা তাঁর পরিবারের কাছে চলে যাবে। ইতিমধ্যেই ওপিডি টিকিটে মোবাইল নম্বর লেখা শুরু করেছে ন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ। শান্তনুবাবু জানিয়েছেন, ন্যাশনালের পর আরজি কর হাসপাতালেও ‘হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম’-এর মাধ্যমে চালু করা হবে এই ব্যবস্থা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ