সুব্রত বিশ্বাস: আজ, সোমবার থেকে আর পুরনো চেহারায় টিকিট পরীক্ষকদের দেখা যাবে না। কর্মীদের সুরক্ষা বিধি মেনে করোনা রুখতে এবার টিকিট পরীক্ষকরা পরবেন পিপিই। বদলে যাচ্ছে টিকিট পরীক্ষা করার পদ্ধতিও।
পরীক্ষকদের মুখে মাস্ক, ফেস শিল্ড, গ্লাভস, সানিটাইজারের সঙ্গে হাতে থাকবে আতস কাচ। যাত্রীদের হাতেই থাকবে টিকিট। যা দূর থেকে আতস কাচের মাধ্যমে দেখবেন টিটিইরা। তবে চিরাচরিত কালো কোট এবং টাই থাকবে না তাঁদের পরনে। যেভাবে তাঁদের এতকাল দেখে অভ্যস্থ রেলযাত্রীরা। রেলবোর্ডের এই নির্দেশ ১ জুন, অর্থাৎ আজ থেকেই কার্যকরী হল।
[আরও পড়ুন: সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়িতে হয়নি জায়গা, শ্মশানেই ঠাঁই মহারাষ্ট্র ফেরত দুই ভাইয়ের]
হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম জানান, করোনার মতো পরিস্থিতিতে ট্রেন চালাতে গিয়ে কর্মীদের সুরক্ষার মধ্যে রাখতে বলেছে রেলবোর্ড। চতুর্থ দফার লকডাউন শেষে আজ থেকে আনলক ওয়ান দফায় দেশজুড়ে আরও দুশোটি ট্রেন চলবে। ফলে যাতায়াত বাড়বে মানুষজনের। কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকা যাতে কোনওভাবে লঙ্ঘিত না হয় সেদিকে নজর রাখছে রেল। ন্যূনতম দূরত্ব রাখতে ট্রেনে শেষ মুহূর্তের রিজার্ভেশন এখন আর টিকিট পরীক্ষক করতে পারবেন না। সিট থাকলে আরএসি যাত্রীকে দিতে হবে।
হাওড়া থেকে পূর্ব রেলের তিনটি ট্রেন ছাড়ছে। পূর্বা, যোধপুর এক্সপ্রেস ও পাটনা জনশতাব্দি। পূর্বা ও জনশতাব্দি মুজফ্ফরপুরের টিটিইরা নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন হাওড়ার টিটিইরাই ট্রেনটি ম্যানিং করবে। সুরক্ষা নিয়ে টিটিইরা বারবার অভিযোগ তুললেও হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম বলেন, ট্রেন ছাড়ার আগেই স্টেশনে অনেক জায়গায় চেকিংয়ের পর যাত্রীদের ট্রেনে চড়তে দেওয়া হবে। তখন স্টেশনেই টিটিইরা টিকিট চেক করবেন। ট্রেন চলাকালীন মাঝপথে তেমন কেউ উঠবেন না। ফলে চেকিং স্টাফদের খুব বেশি দৌড় ঝাঁপ করতে হবে না। অহেতুক ভয়ের কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন ডিসিএম।
এদিকে, এদিন পূর্বা এক্সপ্রেসে ৭০০ যাত্রী যাত্রা করেন হাওড়া থেকে। ছিলেন ছ’জন টিটিই। কিন্তু টিকিট পরীক্ষার জন্য আতস কাচ পাননি তাঁরা। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। আতস কাচ না পেলে কাজ করতে অসুবিধা হবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন টিটিইরা।