অরিজিৎ সাহা: অটোয় উঠে চালকের পাশের সিটে বসতে ইতস্তত বোধ করেন অনেক মহিলাই। চালকদের হাতে শ্লীলতাহানি হওয়ার মতো অনেক ঘটনাই সামনে আসে। আবার কিছু ঘটনা শহরের কর্মব্যস্ততায় চাপা পড়ে যায়। বেপরোয়া অটো চালকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হতে হয় যাত্রীদের। দুর্ঘটনাও কম ঘটে না। এবার সে সব থেকে মুক্তি মিলবে। কারণ এবার চালকের আসনে থাকবেন মহিলারাই।
[ফের এসটিএফ-এর জালে জামাত জঙ্গি, এবার পাকড়াও ‘কালু’]
‘হামারি ছোরিয়া ছোরো সে কম হে কে।’- দঙ্গল ছবিতে আমির খানের বিখ্যাত এই সংলাপ বর্তমান সমাজে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। মহিলারা পুরুষদের থেকে যে কোনও অংশেই কম নয়, পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব ধরনের কাজ করে বারবার তা প্রমাণ করছেন তাঁরা। আর এবার কলকাতায় পুরুষ অটো চালকদের টেক্কা দিতে স্টিয়ারিং হাতে রাস্তায় নামবেন মহিলারাই। অর্থাৎ তিলোত্তমার বুকে অটোর দুনিয়ায় আসছে বড়সড় পরিবর্তন। দক্ষিণ কলকাতা অটো ড্রাইভার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে কলকাতারই ৬০ জন মহিলাকে অটো চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা ও সুবিধার জন্যই এমন উদ্যোগ বলে জানানো হচ্ছে।
[সিআইডির ‘অতিসক্রিয়তা’, সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ ভারতীর স্বামী]
শহরের কোন কোন রুটে চলবে মহিলা চালিত অটো? অটো ড্রাইভার্স ইউনিয়নের অন্যতম সদস্য গোপাল সূত্রধর জানাচ্ছেন, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে হাজরা, রবীন্দ্র সরোবর থেকে বেহালা ট্রাম ডিপো, গড়িয়াহাট থেকে কসবা-সহ বিভিন্ন রুটে মহিলা চালকরাই যাত্রীদের পৌঁছে দেবেন গন্তব্যে। তিনি বলেন, “পথে অটো নিয়ে নামতে প্রস্তুত মহিলারা। খুব তাড়াতাড়ি হাতে লাইসেন্সও চলে আসবে। পরিবহণ দপ্তর এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। তাই তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চেই চালকের আসনে মহিলাদের দেখা যেতে পারে।” এর আগে সরকারি বাসের কনডাক্টর অথবা টোটো চালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে নারীশক্তিকে। এবার পরিবার-আত্মীয় স্বজন সামলে কোমর বেঁধে স্টিয়ারিং ধরবেন ‘দশভুজা’রা। নতুন এই চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি তাঁরা।