গৌতম ব্রহ্ম: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৬ তলা থেকে মরণঝাঁপ রোগীর। বুধবার বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক সমস্যার কারণেই ঝাঁপ দেয় ওই রোগী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুপারের নির্দেশে বউবাজার থানার তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপর কমিটিতে রয়েছেন হাসপাতালের সুপার-সহ নিউরো ও ফরেনসিক বিভাগের প্রধানরা।
অন্যান্যদিনের মতোই বুধবার সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের নিউরো বিভাগে রাউন্ডে যান চিকিৎসকরা। সেখানে নার্সরাও ছিলেন। সেই সময় আচমকা ক্ষেপে ওঠে বছর গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আচমকা নার্স ও চিকিৎসকদের হাত ছাড়িয়ে ৬ তলার জানলা থেকে ঝাঁপ দেয় ওই যুবক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। ঝাঁপ দেওয়ার আগে নিজের পরনের জামাটিও ছিড়ে ফেলে ওই যুবক।
[আরও পড়ুন: অগ্রিমের টাকা না মেলায় হাসপাতালে যেতে নারাজ অ্যাম্বুল্যান্স, বেঘোরে প্রাণ গেল রোগীর]
হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবারই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল বছর ২০-এর ওই যুবককে। বাবা তার সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু ওই ঘটনার সময় তিনি রক্তের নমুনা জমা দিতে গিয়েছিলেন। হাসপাতাল সুপারের কথায়, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে, বাকিটা আজই হওয়ার কথা ছিল। রিপোর্ট হাতে আসার পরই শুরু হত চিকিৎসা। কিন্তু সেই সুযোগটুকুও মিলল না। ওই যুবকের আদতে কী সমস্যা ছিল, তা বোঝার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।” সুস্থ করতে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে এসে এমন পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে তা ভাবতেও পারেননি গিয়াসউদ্দিনের বাবা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মুদির দোকানকে স্টোর করার নামে ৪০ লক্ষ টাকা ব্যাংক জালিয়াতি, গ্রেপ্তার চার]
এই ঘটনার পরই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য রোগীর পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালের নিউরো বিভাগের জানলায় কেন গ্রিল দেওয়া নেই এই প্রশ্নও তোলেন অনেকেই। পাশাপাশি, রোগীরদের সুরক্ষার কথা ভেবে অন্য বিভাগে সম্ভব না হলেও অন্তত নিউরো বিভাগের জানলাগুলিতে গ্রিল লাগানোর দাবি জানান তাঁরা।