Advertisement
Advertisement

Breaking News

Terrorists

গণধোলাই-সংঘর্ষের ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গি নিয়োগের ছক! ধৃত ২ বাংলাদেশিকে জেরায় মিলল তথ্য

জেএমবি ও আনসারুল্লা বাংলার পরিকল্পনা ফাঁস করল এসটিএফ।

People were blackmailed with videos to be terrorist, says STF after investigation | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 21, 2022 11:56 am
  • Updated:October 21, 2022 11:59 am

অর্ণব আইচ: দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণধোলাই ও সংঘর্ষের ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গি নিয়োগ (Terrorists Recruitment)। সেই সূত্র ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্লিপার সেল তৈরি করার ছক কষেছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন (বাংলাদেশ)। তাতে মদত জোগাচ্ছিল ভারতীয় আল কায়েদা তথা বাংলাদেশের আনসারুল বাংলা টিম (ABT)। কলকাতা ও জেলায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ‌্য পেতে এবার ভোপাল থেকে মধ‌্যপ্রদেশ পুলিশের সহায়তায় কলকাতায় বাংলাদেশি দুই জঙ্গিকে নিয়ে এল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। বৃহস্পতিবার ওই দুই জঙ্গিকে ব‌্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই অভিযুক্ত বাংলাদেশি জঙ্গির নাম মহম্মদ হামিদুল্লাহ ওরফে রাজু গাজি ও মহম্মদ আকিল ওরফে আহমেদ। ভোপাল (Bhopal) থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় আল কায়েদার দুই জঙ্গি ফয়জল আহমেদ ও মহম্মদ হাসনত। দ্বিতীয়জনের মালদহের (Maldah) বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি পেন ড্রাইভ, যাতে রয়েছে জঙ্গি কার্যকলাপের বহু তথ‌্য। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই পেন ড্রাইভ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, হাসনতরা ভারতীয় আল কায়েদা বা আকিস (AQIS) ও বাংলাদেশের এবিটির সদস‌্য হলেও তাদের যোগসূত্র রয়েছে জেএমবির (JMB) সঙ্গেও। মাস দু’য়েক আগে ৬ জন বাংলাদেশি জঙ্গিকে ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করেন এনআইএ আধিকারিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কেবল কোরান নয়, গীতাতেও শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জেহাদ শিখিয়েছিলেন’, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক]

কলকাতা পুলিশের এসটিএফ আধিকারিকরা হাসনতকে জেরা করার পর নিশ্চিত হন যে, এই চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে ভোপালের জেলে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গেও। এরপরই  মহম্মদ হামিদুল্লাহ ও মহম্মদ আকিলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেয় লালবাজার। গোয়েন্দারা জেনেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ওই বাংলাদেশি জঙ্গিরা এই রাজ্যে আসে। এরপর কলকাতা হয়েই তারা মধ‌্যপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মূল উদ্দেশ‌্য ছিল, বাংলাদেশ সীমান্ত ছাড়াও দেশের এমন কিছু জায়গায় স্লিপার সেল তৈরি করা, যাতে কেউ সন্দেহ না করে। শ্রমিক ও ফেরিওয়ালার মতো পেশার আড়ালেই তারা জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগের জন‌্য অল্প কয়েকজন যুবক ও তরুণকে নিয়ে বৈঠক করত। সোশ‌্যাল মিডিয়ার (Social Media) মাধ‌্যমেই ক্রমাগত জঙ্গি সংগঠনের প্রচার করত তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভুয়ো কিউআর কোডে দেদার বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ বাজি, বিক্রি রুখতে তৎপর পুলিশ]

গোয়েন্দারা জানতে পারেন, প্রচারের জন‌্য জঙ্গিদের প্রধান হাতিয়ার ছিল কিছু ভিডিও ফুটেজ, যাতে দেখানো হয়েছে কয়েকজনকে গণধোলাই দেওয়া হচ্ছে। আবার কিছু সংঘর্ষের ফুটেজও দেখিয়ে কিছু পরিস্থিতির কথা বলা হত। ওই পরিস্থিতি থেকে বের হতে বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরির প্রয়োজন বলে মগজধোলাই করা হয় তরুণ ও যুবকদের। কলকাতা ও আশপাশের জেলায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক ও স্লিপার সেল তৈরি হচ্ছিল কি না, তা জানতে ধৃতদের টানা জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ