অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় জারি ধরপাকড়। শিক্ষাবন্ধুর অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বুধবার রাতে সৌম্যদীপ মাহাতো ওরফে উজানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র।
গত ১ মার্চ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। অভিযোগ, ওইদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তি তৈরির চেষ্টা শুরু করে বাম ছাত্ররা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন-সহ একাধিক দাবিতে সুর চড়াতে থাকে তারা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছনোর আগে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে একদল বাম ছাত্র। চলে স্লোগানিং। পালটা তাতে বাধা দেয় টিএমসিপি। দু’পক্ষের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তারই মাঝে শুরু হয় ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। আচমকা সভাস্থলে পৌঁছে যায় বিক্ষোভকারীরা। তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসেও ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকার হাওয়াও খুলে দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কিতে চোট পান খোদ শিক্ষামন্ত্রী। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাও হয় তাঁর।
শিক্ষাবন্ধুর অফিসে ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের অভিযোগে এর আগে প্রাক্তন ছাত্র সাহিলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বুধবারই তার জামিন হয়। পুলিশি তদন্তে আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে। সেই তালিকায় ছিলেন সৌম্যদীপ। তাকে যাদবপুর থানায় তলব করা হয়। বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্রটি যাদবপুরের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাকে জেরা করে অন্য অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.