অর্ণব আইচ: ফেসবুকের সহযোগিতায় আত্মহত্যার আগের মুহূর্তে এক তরুণীকে বাঁচিয়ে নিল পুলিশ আধিকারিকরা। শনিবার রাতে গুয়াহাটি ও কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় গুয়াহাটির বাসিন্দা ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। এদিন ফেসবুকের মূল কার্যালয় থেকে একটি মেল করা হয় লালবাজারে। সেখানে জানানো হয়, এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এক তরুণী একটি ভিডিও আপলোড করেছে। সেটি দেখার পর ফেসবুকের আধিকারিকদের মনে হয়েছে যে, ওই তরুণী যে কোনও মুহূর্তে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ফেসবুকের তরফেই পুলিশ আধিকারিকদের জানানো হয় ওই তরুণীর ফোন নম্বর, ঠিকানা। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তৎক্ষণাত খোঁজখবর শুরু করে লালবাজারের আধিকারিকরা। তদন্তে জানা যায়, অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা ওই তরুণী। এরপরই গুয়াহাটি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে লালবাজারের অধিকর্তারা। শুরু হয় খোঁজ।
[আরও পড়ুন: অনটন নাকি সন্তানধারণে অনীহা? বেলেঘাটার ঘাতক মায়ের গর্ভপাতের কারণ নিয়ে ধন্দ]
মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুকের তরফে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই তরুণীকে খুঁজে বের করেন গুয়াহাটি পুলিশ। কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে তদন্তকারীরা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে ওই তরুণীর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছ, ব্যক্তিগত বেশ কিছু সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী। মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। তবে এদিনের ঘটনায় ফেসবুকের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।