Advertisement
Advertisement

Breaking News

তিন ছাত্রের সাসপেনশন প্রত্যাহার, প্রেসিডেন্সিতে উঠল অনশন

পড়ুয়ারা চিঠি লিখে ক্ষমা চান উপাচার্যর কাছে।

Presidency VC lifts suspension on students
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 24, 2019 8:21 pm
  • Updated:January 24, 2019 8:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ঘেরাও উঠল প্রেসিডেন্সিতে। অনশনরত তিন ছাত্রের সাসপেনশন প্রত্যাহারের পর উপাচার্যকে ঘেরাওমুক্ত করল পড়ুয়ারা। সেই সঙ্গে উঠল অনশনও। বৃহস্পতিবার সকালেই উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানিয়ে দিয়েছিলেন, অনশন না তোলা হলে ছাত্রদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হবে না। এরপর ছাত্রদের তরফে উপাচার্যকে একটি চিঠি লেখা হয়। আন্দোলনের ধরন নিয়ে উপাচার্যের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন পড়ুয়ারা। উপাচার্যকে ঘেরাও এবং বিক্ষোভের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন পড়ুয়ারা।

[অনশনকারী পড়ুয়াদের ক্ষমা করা হবে না, জানিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য]

পড়ুয়ারা ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় নিজেও নমনীয়তা দেখান অনুরাধা লোহিয়া। তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়া চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে দুই তরফকেই দায়িত্ব নিতে হবে। পড়ুয়াদেরও আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে তাঁরা। এরপরই, সাসপেনশন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অনুরাধা লোহিয়া। উঠে যায় ঘেরাও। একদিন পর ক্যাম্পাস থেকে বেরোন তিনি।

Advertisement

[SVF-এর কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই]

কয়েকমাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ আধিকারিকদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল ছাত্রদের একটি অংশ। হিন্দু হস্টেল দ্রুত চালুর দাবিতে কয়েক মাস আগে ওই ঘটনা ঘটে। গেটে তালা দেওয়ায় গভর্নিং বোর্ডের সদস্যরাও ঢুকতে পারেননি। বিক্ষোভের জেরে ক্যাম্পাসের বাইরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটি তৈরি হয়। ৩ জন ছাত্রকে সম্প্রতি সাসপেন্ড করে কমিটি। আনিসুর হক, অনিত বৈদ্য ও সায়ন চক্রবর্তীকে ওই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়। ১৯ জানুয়ারি থেকে ৬ জন ছাত্র অনশনে বসেছেন। ইতিমধ্যে উপাচার্য ছাত্রদের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেল’ করার অভিযোগ এনেছেন। সাসপেনশন তোলার দাবিতে সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের পাশাপাশি আর্য অগ্রহারি, মাল্যবান গঙ্গোপাধ্যায় ও সৌম্যদীপ গোস্বামীও অনশন শুরু করেন। পোর্টিকোর নিচে চলছিল অনশন। বুধবার তাঁরা উপাচার্যের ঘরের সামনে অনশনে বসেন। রাতভর ক্যাম্পাসেই ছিলেন উপাচার্য। তবে, এদিন সকালেই তিনি জানিয়ে দেন, “অনশনের নামে আমাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। অনশন না তুললে কোনও কথা বলব না। আমার ওপরে চাপ তৈরি করে কোনও লাভ হবে না।” অন্যদিকে পড়ুয়ারাও জানিয়ে দেন, সাসপেনশন না তোলা পর্যন্ত তাঁরা অনশন করে যাবেন। অবশেষে দু’পক্ষই নমনীয় মনোভাব দেখানোই উঠে যায় সাসপেনশন। ঘেরাওমুক্ত হন উপাচার্যও।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ