BREAKING NEWS

১০ চৈত্র  ১৪২৯  শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতি: দু’টি প্রশ্নের জবাবেই চাকরি! মানিক-কুন্তলের ইশারায় সাঙ্কেতিক ভাষায় চলত কারসাজি

Published by: Paramita Paul |    Posted: February 8, 2023 5:04 pm|    Updated: February 8, 2023 5:14 pm

Primary TET Scam: Manik Bhattacharya and Kuntal Ghosh used signs to recruitment

অর্ণব আইচ: উত্তরপত্রে মাত্র দু’টি প্রশ্নের জবাব দিলেই ঝুলিতে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এমনই ‘গুপ্ত’ কায়দায় চলত টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া। আর গোটা বিষয়টি হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও হুগলির যুব তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের কড়া নজরদারিতে।

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে একথা জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। আদালতে তাঁর দাবি, উত্তরপত্রের মধ্যেই লুকিয়ে থাকত গুপ্ত সংকেত। তা দেখেই বোঝা যেত কোন প্রার্থী টাকা দিয়েছেন, কে টাকা দেননি। তার উপর নির্ভর করেই হত চাকরি।

[আরও পড়ুন: গরম শিকের ছ্যাঁকা, যৌন নির্যাতন, কিশোরী পরিচারিকাকে নারকীয় অত্যাচারে গ্রেপ্তার দম্পতি]

নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলা চলাকালীন ব্য়াঙ্কশাল আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেছেন, সাংকেতিক ভাষায় চলত দুর্নীতির কারসাজি। কীভাবে চলত সেই কারসাজি? ইডির আইনজীবীর দাবি, যে চাকরিপ্রার্থীরা টাকা দিতেন উত্তরপত্রে তাঁদের নির্দিষ্ট দু’টি উত্তর দিতে বলা হত। সেই দু’টি প্রশ্নের উত্তরে গোল চিহ্ন দিতেন তাঁরা। সেখানেই লুকিয়ে থাকত চাকরি পাওয়ার চাবিকাঠি! ওঅ দু’টি উত্তর ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশ্নের উত্তরের জায়গা তাঁরা ফাঁকা রেখে দিতেন। সেই সাংকেতিক চিহ্ন দেখেই পরীক্ষার খাতা আলাদা করা হত। পরে ওই খাতায় সমস্ত প্রশ্নের জবাব লিখে দেওয়া হত।

আদালতে ইডির দাবি, ২০১২ ও ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে এই কায়দায় দুর্নীতি হয়েছে। পুরো কাণ্ডটাই হত মানিক ও কুন্তলের নজরদারিতে। আপাতত জেলেই রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ও কুন্তল। ১৪ মার্চ অবধি জেলেই থাকবেন মানিক ভট্টাচার্য। 

[আরও পড়ুন: নতুন ফোন হারালেন কোহলি, সান্ত্বনা দিতে এ কী বার্তা জোম্যাটোর! হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে